জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁসের অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আইনে করা এই মামলায় জয় ছাড়াও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ ১৯জনকে আসামি করা হয়েছে।
জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁসের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আইনে করা এই মামলায় জয় ছাড়াও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ ১৯জনকে আসামি করা হয়েছে। ৮ অক্টোবর, মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি করেন এনামুল হক নামে এক ব্যক্তি।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ক্ষমতার অপব্যবহার করে সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে জনগণের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য বিক্রি করেছেন।
জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে, ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেডকে এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসার অনুমতি দেন অভিযুক্তরা।
দেশ ও দেশের বাইরের প্রায় ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্য বিক্রি করা হয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়, তৃতীয়পক্ষের কাছে তথ্য পাচার হওয়ায় জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। তথ্য বিক্রির প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাত করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে কাফরুল থানা পুলিশ জানায়, যাচাই-বাছাই শেষে মামলায় আরও আসামি যোগ হতে পারে।
মামলায় আরও আসামিদের মধ্যে আছেন- ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ, ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসের পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান শরিফ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সাবেক নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহাবুবুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগের সাবেক পরিচালক (অপারেশন) আবদুল বাতেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সাবেক সিনিয়র মেইন্টেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মু. আশরাফ হোসেন, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. রাকিবুল হাসান এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক উপসচিব মো. রেজাউল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: