বাংলাদেশে কয়লা সংকটে বন্ধ পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন

লোডশেডিং এ অতিষ্ঠ জনজীবন : ফেরা হচ্ছে তেলভিত্তিক উৎপাদনে

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৬ জুন ২০২৩ ১০:৩৩

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি


বাংলাদেশে কয়লা সংকটে গতকাল ৫ জুন, সোমবার থেকে বন্ধ দেশটির পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। গত ২৫ মে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে শুরু হয় তীব্র লোডশেডিং। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় পায়রা-সংলগ্ন তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেগুলো বন্ধ করার ফলে তখন প্রায় দেড় হাজার থেকে দুই হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়। পরে পায়রা ও রামপাল উৎপাদনে আসায় লোডশেডিং সমস্যা দূর হয়।

জানা গেছে, বর্তমান সংকট নিরসনে তেলভিত্তিক প্ল্যান্টগুলোতে ফের উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে পিডিবি।

বাংলাদেশে রামপাল ও পায়রাসহ খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে মোট বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে ২০টি। এর মধ্যে খুলনা অঞ্চলে ফার্নেস অয়েল ভিত্তিক কেন্দ্র আছে ছয়টি। ডিজেলভিত্তিক আছে তিনটি কেন্দ্র। গ্যাস ভিত্তিক আছে দুটি কেন্দ্র। এছাড়া মোংলায় একটি সোলার প্লান্ট আছে।

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কাছে তেলের চাহিদাপত্র পাঠায় পিডিবি। বিপিসি সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে চলতি বছরের জুন মাসে পিডিবির তেলের চাহিদা ছিল ৫৫ হাজার মেট্রিক টন। যা এরই মধ্যে তাদেরকে সরবরাহ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (উৎপাদন) এস এম ওয়াজেদ আলী বলেন, পায়রার ঘাটতি মেটানোর জন্য আমরা কয়েকটি তেলভিত্তিক প্ল্যান্ট চালু করেছি। এর মধ্যে সামিটসহ বেশ কয়েকটি প্ল্যান্ট রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি পায়রা উৎপাদনে আসার আগে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও লোডশেডিং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: