আমিরাত প্রেসিডেন্টকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার চিঠি

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৫২

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

সাম্প্রতিক ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের প্রতি সংহতি প্রকাশের কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) কারাবন্দী ৫৭ জন বাংলাদেশী নাগরিককে ক্ষমা করার জন্য দেশটির প্রেসিডেন্টের ‘সদয় সিদ্ধান্ত’র ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

৩ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের কাছে লেখা এক চিঠিতে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপনার সহানুভূতি ও বোঝাপড়া সত্যিই আমাদেরকে গভীরভাবে ছুঁয়েছে।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইনের প্রতি সরকারের পূর্ণ শ্রদ্ধা ব্যক্ত করেন এবং বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার আগে স্বাগতিক দেশগুলোর স্থানীয় আইন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে নাগরিকদের অবহিত ও শিক্ষিত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তাদের দণ্ড বাতিলের বিষয়ে আপনার মহৎ সিদ্ধান্ত গভীর স্বস্তি ও প্রশংসা অর্জন করেছে। বিশেষ করে যারা এর সাথে জড়িত তাদের পরিবার এবং বাংলাদেশে আমাদের বৃহত্তর দেশবাসী এবং সাধারণভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আমাদের সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তাদের টেলিফোন কথোপকথনের পর এই ক্ষমার বিষয়টি কেবল সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের সহানুভূতিশীল নেতৃত্বের উদাহরণই নয়, বরং দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী ভ্রাতৃত্বপূর্ণ বন্ধনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রেও বাহক হিসেবে কাজ করে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনার এই সদয় সিদ্ধান্তের জন্য আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, যা আমাদের দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরো দৃঢ় করবে।’

তিনি বলেন, তারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার অব্যাহত রাখতে এবং জনগণের পারস্পরিক স্বার্থে একসাথে কাজ করার প্রত্যাশায় রয়েছেন।

অধ্যাপক ইউনূস সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের সুস্বাস্থ্য, সুখ, দীর্ঘায়ু এবং অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: