বাংলাদেশের বন্যা নিয়ে ভারতের ব্যাখ্যা

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২২ আগস্ট ২০২৪ ১৮:১০

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

টানা বৃষ্টিপাত ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বাঁধ খুলে দেওয়ার খবর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে দেশটির সরকার বলছে, গোমতীর নদীর ওপর নির্মিত ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশে বন্যা হয়নি। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এই বন্যা ইস্যুতে একটি বিবৃতি দেয়। সেখানে বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশের বন্যার কারণ হিসেবে ডম্বুর বাঁধ খুলে দেয়াকে দায়ী করা হচ্ছে। আদতে সে কথার ভিত্তি নেই। কারণ ডম্বুর বাঁধ বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১২০ কিলোমিটার উজানে। দাবি করা হয়, গেল কয়েক দিনের অতিবৃষ্টিতে বেড়েছে গোমতী নদীর পানি। তাতেই প্লাবিত হয়েছে আশপাশের অঞ্চল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী সমগ্র ত্রিপুরা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোয় ২১ আগস্ট থেকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।

এসময় দুদেশের অভ্যন্তরে থাকা আন্তর্জাতিক নদীগুলোর ব্যাপারেও বার্তা দেয় দিল্লি। বলা হয়, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন নদীতে বন্যা একটি যৌথ সমস্যা। যা উভয় পক্ষের জনগণের জন্য দুর্ভোগ সৃষ্টি করে এবং এর সমাধানের জন্য ঘনিষ্ঠ পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

এরআগে, ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমই জানিয়েছিল, ডম্বুর বাঁধের জলকপাট খুলে দেয়ার কারণে পানি বেড়েছে গোমতী তীরবর্তী অঞ্চলে। এতে প্লাবিত হয়েছে অমরপুর, উদয়পুর, সোনামুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। সোনামুড়া বাংলাদেশের কুমিল্লা সীমান্তের একেবারেই কাছে।

বন্যা পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করেছে বাংলাদেশের ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা দাড়িয়েছে ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলায়। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি। এখনো হাজারো মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে এসব জায়গায়।

এমন পরিস্থিতিতে এসব এলাকা পুরোপুরি বিদ্যুতহীন হয়ে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে মোবাইল নেটওয়ার্কও। 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: