ভেঙে দেয়া হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র বিতর্কিত পরিচালনা পর্ষদ। গঠন হবে স্বাধীন পরিচালনা পর্ষদ। ২১ আগস্ট, বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক এসব তথ্য জানিয়েছে। আজই এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি হতে পারে।
জানা যায়, ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের অংশ হিসেবেই ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেয়া হচ্ছে। ইসলামী ব্যাংক থেকে পাচার হওয়া টাকা এখন আদায় করা যাচ্ছে না, ফলে ব্যাংকটি তারল্যসংকটে ভুগছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকে চাহিদামতো তারল্য জমা রাখতে না পেরে ব্যাংকটি প্রতিদিন জরিমানা দিচ্ছে।
আবার একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদ্য সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার নিজের বিশেষ ক্ষমতাবলে ‘টাকা ছাপিয়ে’ দেড় বছর ধরে ব্যাংকটিকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু ব্যাংকটির খারাপ অবস্থার দায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এদিকে গত সপ্তাহে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছেন ব্যাংকটির শতাধিক কর্মকর্তা। চিঠিতে বলা হয়, পরিচালনা পর্ষদ ও কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ব্যাংকের তহবিল লুটপাটের যে তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, বাস্তব অবস্থা এর চেয়েও ভয়াবহ। দীর্ঘদিন লুটপাটের ধারা অব্যাহত থাকার কারণে ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ব্যাংকটির প্রতি গণমানুষের আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। এ জন্য তারা দ্রুত পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক দখলে নেয় এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকটির মালিকানা নেয়ার পর থেকে নামে-বেনামে ৭৫ হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছে এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকটির শেয়ারের ৮২ শতাংশের মালিকানা রয়েছে এস আলমের হাতে। এরই মধ্যে এস আলমের শেয়ার হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিএসইসি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: