দেশের জনগণের মোবাইল ফোনে আড়িপাতা ও বেআইনিভাবে কথোপকথন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের ওপর। যার কারনে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন সংস্থাটির বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছে। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এনটিএমসির কার্যক্রম সংবিধান পরিপন্থী। সংবিধানের ৪৩ (খ) অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের সব মাধ্যমের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। অথচ ২০১৩ সালে এই সংস্থাটি গঠন করা হয় বিতর্কিত বরখাস্তকৃত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের পরামর্শে।’
মহিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘মূলত নাগরিকের যোগাযোগে আড়িপাতা ও নজরদারিতে রাখার জন্য ফোনালাপ রেকর্ড, ইন্টারনেট ও বিভিন্ন অ্যাপে আড়িপাতা ছাড়া অন্য কোনো কাজই করেনি এই সংস্থাটি। ফোনালাপ, এমনকি ভিডিও কল রেকর্ড করে অনেক সম্ভ্রান্ত নাগরিককে হেনস্তা করেছে এই সংস্থাটি।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ফোনে আড়িপাতার জন্য বিক্যাল মাউন্টেন ডেটা ইন্টারসেপ্টরের মতো ভয়ানক যন্ত্র ব্যবহার করে আসছিল এনটিএমসি। বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকা ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কাছ থেকে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ক্রয় করা হয়েছিল বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। পেগাসাস স্পাই অ্যাপটি ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পাঠানো হতো অনেক গ্রাহক না বুঝেই ইনস্টল করলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকের ব্যবহৃত ডিভাইসটি সংস্থার নিয়ন্ত্রণে চলে আসত। এভাবে নাগরিকদের সব কার্যক্রমের তথ্য হাতিয়ে নিত এনটিএমসি। এ ধরনের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা এবং সংবিধান পরিপন্থী। সেই সঙ্গে মানবাধিকারের লঙ্ঘন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয় মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন মনে করে, সংবিধানকে সমুন্নত রেখে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এনটিএমসিকে বিলুপ্ত করা আবশ্যক। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, এই সংস্থার অবৈধ যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে কোটি কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। এনটিএমসি বিলুপ্তির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন কথোপকথন ফাঁস ফোনে আড়িপাতা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: