দীর্ঘ সময়ের জন্য হাসিনার আশ্রয়স্থল হতে পারে দিল্লী

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১০ আগস্ট ২০২৪ ০৯:৪৯

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্যাপক জনরোষ ও গণবিক্ষোভের মুখে মন্ত্রীত্বকে বিসর্জন দিয়ে পালাতে হয়েছে। প্রতিবেশী ভারতে আশ্রয় নেওয়া এই আওয়ামী লীগ সভাপতির দীর্ঘ সময়ের আশ্রয়স্থল হতে পারে দিল্লি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক বিশেষ প্রতিবেদন এই তথ্য দিয়েছে।

বন্ধু রাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়ার পর শেখ হাসিনাকে নিয়ে নিয়মিতভাবে খবর প্রকাশ করছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। বঙ্গবন্ধুকন্যা দিল্লি থেকে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন বলে গুঞ্জন থাকলেও তার কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র তাঁর ভিসা বাতিল করেছে বলেও গুঞ্জন উঠেছে।

নিউজ১৮ প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ভারতে থাকতে হতে পারে। তবে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আইনি সুযোগ না থাকায় ভিসার মাধ্যমে তিনি দিল্লিতে থাকবেন।

সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি বলছে, শেখ হাসিনার পক্ষে এই মুহূর্তে নিরাপদে অন্য কোনো দেশে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আবার ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার আইন নেই। তাই শেখ হাসিনাকে আপাতত ভিসা নিয়ে দিল্লিতে থাকতে হবে।

ওই সূত্র নিউজ১৮-কে বলেন, সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ‘ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার আইন নেই। আইনিভাবে আমরা কাউকে শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থীর মর্যাদায় রাখতে পারি না। কোনো ব্যক্তিকে শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থীর মর্যাদা দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তখন অধিকার দাবি করেন বা আদালতের দ্বারস্থও হতে পারেন। এতে সমস্যা তৈরি হয়। আমরা যা করি, সেটা হলো কেইস টু কেইস ভিত্তিতে ভারতে থাকার অনুমতি দিই।’

সূত্রটি আরও বলেছে, ‘আমরা যদি আইন করি, তাহলে ইরান, আফগানিস্তান বা পাকিস্তান থেকে কেউ এসে আশ্রয় চাইতে পারে। তারা আদালতে যাবে এবং আদালত সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সময় নেবে। আর আইন না থাকায় সময় নষ্ট হয় না। গুরুত্ব বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। অর্থাৎ অল্প সময়ে থাকার বন্দোবস্ত হয়ে যায়।’

এমন প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা আশ্রয়ের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত বা ইউরোপের দেশগুলোকে বিকল্প হিসেবে ভাবছেন বলেও সূত্রটি জানিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাসিনাপুত্র বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হলে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলে শেখ হাসিনা দেশ ফিরবেন। এ ছাড়া দেশ ছাড়ার আগে সময়ের অভাবে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি বলেও দাবি করেছেন জয়।

জয় এখন বলছেন, বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনের জন্য, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি বিএনপির সঙ্গে কাজ করতেও রাজি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: