'মার্চ ফর জাস্টিস' : বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, লাঠিচার্জ-টিয়ারশেল নিক্ষেপ

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৩১ জুলাই ২০২৪ ০৬:৫৬

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা, মামলা, গুম ও খুনের প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), হাইকোর্ট ও সিএমএম কোর্টে বিক্ষোভ চলছে। এছাড়া সিলেটে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

কর্মসূচিতে অংশ নেয়া ৪ জনকে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে আটক করেছে পুলিশ। ৩১ জুলাই বুধবার দুপুরের দিকে হাইকোর্টের মাজার রোডের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকদের নিয়ে যাওয়ার সময় এক নারী শিক্ষার্থী পুলিশ ভ্যানের সামনে ব্যারিকেড দেওয়ার চেষ্টা করেন। সেখানে আইনজীবীদের একটি দলকে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ লেখা ব্যানার নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এর আগে হাইকোর্টের মাজার রোডের সামনে ৫০ থেকে ৬০ জন শিক্ষার্থী অবস্থান নেন। পরে আরও ৭০ থেকে ৮০ জন শিক্ষার্থী যোগ দেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা একটি মিছিল নিয়ে যোগ দিতে এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে শিক্ষকরা বসে পড়েন।

ঢাবির সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচিতে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এসেছেন। আমরা সংহতি জানাতে এসেছি। পুলিশ আমাদের আটকে দিয়েছে, পরে আমরা বসে পড়েছি।

অন্যদিকে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ঢাকার নিম্ন আদালতে 'মার্চ ফর জাস্টিস' কর্মসূচি পালন করছেন আইনজীবীরা। এসময় আইনজীবীরা আদালত প্রাঙ্গণে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

মিছিলটি আদালত চত্বর ঘুরে সিএমএম কোর্টের প্রধান ফটকে এলে বিজিবি ও পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। তখন আইনজীবীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে নানা স্লোগান দেন।

এর আগে দুপুর ১২ টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে থেকে তাদের কর্মসূচি শুরু হয়। এ বিক্ষোভ মিছিলে শত শত আইনজীবী অংশ নেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা, মামলা, গুম ও খুনের প্রতিবাদে আজ বুধবার ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

৩০ জুলাই মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল কাদের এই ঘোষণা দেন।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: