বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ২৯ জুলাই, সোমবার কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের কাছে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
এদিন হাইকমিশনে কিছু ভিডিও জমা দিয়েছেন তিনি। সেগুলোতে বাংলাদেশে আন্দোলন চলাকালে ভারতবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা গেছে। নাম এসেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিরও। এই ভিডিও দেখার পর হাইকমিশনকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শুভেন্দু।
২৯ জুলাই, সোমবার বিকালে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে যান শুভেন্দু অধিকারী। তার সঙ্গে ছিল বিজেপির ২০ জন বিধায়কের প্রতিনিধি দল। ডেপুটি হাইকমিশনে ঢোকার আগে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তারা।
বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, এদিনের কর্মসূচির জন্য আগে থেকে অনুমতি নেওয়া ছিল। তবে তা সত্ত্বেও রাজ্য পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
বেশ কিছুক্ষণ পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি চলার পরে হাইকমিশনের ভেতরে প্রবেশ করেন তারা। কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার পর শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘গত শনিবার আমরা হাইকমিশনারের কাছে আসার কথা জানিয়েছি, লিখিত অনুমতিও আছে। তাও দিনের পর দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ অসভ্যতা করছে। এটা মেনে নেওয়া হবে না।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ভারতবিরোধী স্লোগানের কপি ও ভিডিও এদিন বাংলাদেশ হাইকমিশনারের হাতে তুলে দেন শুভেন্দু অধিকারী। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশের ভেতরের বিষয় নিয়ে মাথাব্যথা নেই। আমরা তো আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নই যে রোহিঙ্গাদের সিএএ নিয়েও আপত্তি করে, বলে তাদের জন্য দরজা খোলা, ভারত আমাদের মা। তাই ভারতবিরোধী স্লোগান নিয়ে আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। দেশের প্রধানমন্ত্রীর অপমানও আমরা বরদাস্ত করবো না।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: