আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারে হিউম্যান রাইটসের বিবৃতি

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৮ জুলাই ২০২৪ ১৭:৫১

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি
 
 

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভের অভিযোগে ৫৭ বাংলাদেশিকে যাবজ্জীবনসহ দীর্ঘমেয়াদি সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। তড়িঘড়ি করে বাংলাদেশিদের এমন সাজার নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

গত ২৪ জুলাই সংগঠনটি এ বিবৃতি দিয়েছে। ২৮ জুলাই, রোববার হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।

‘Unjust Convictions Follow Bangladesh Protests’ শিরোনামে দেওয়া এ বিবৃতিতে আমিরাত কর্তৃপক্ষের বিচারিক প্রক্রিয়াকেও সমালোচনা করা হয়েছে। তড়িঘড়ি করে দীর্ঘমেয়াদি সাজা ঘোষণাকে বিচারিক উপহাস বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে যে কোনো ধরনের বিক্ষোভ অবৈধ। সেখানে যে কোনো ধরনের বিক্ষোভ মিছিলের বিরুদ্ধে সবসময় কঠোর অবস্থান দেখানো হয়। ফলে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ করায় দেশটিতে গত ২১ জুলাই ৫৭ বাংলাদেশিকে দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরমধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন এবং একজনকে ১১ বছর ও ৫৩ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় আবুধাবির একটি আদালত।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ বিচারিক কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ করেছে। সংগঠনটি বলছে, এভাবে বিচারিক কার্যক্রম অপমানজনক। এ ছাড়া বিচারিক কার্যক্রমের ন্যায্যতা এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের বিষয়েও বিবৃতিতে উদ্বেগের কথা বলা হয়েছে।

সংগঠনটির আরব আমিরাতের গবেষক জয় শিয়া বলেন, যখন ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের তদন্ত শুরু হয়ে বিচারও শেষ করা হয়, তখন আসামিদের ন্যায় বিচার পাওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। তিনি এটিকে বিচারিক উপহাস বলে মন্তব্য করেন। বলেন, আমিরাত কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে দণ্ডিত সবাইকে মুক্তি দেওয়া।

আন্তর্জাতিক এ মানবাধিকার সংগঠনটি জানিয়েছে, গত ১৯ জুলাই এবং সমসাময়িক অন্তত ৬টি টিকটক ও এক্স ভিডিও যাচাই করেছে। এসব ভিডিও আবুধাবি, আজমান এবং দুবাইয়ের আল সাতওয়া এবং ডাউনটাউনে ধারণ করা হয়েছে। এসব ভিডিওতে বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান দিয়ে স্লোগান এবং বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। ভিডিওগুলো বিশ্লেষণে বিক্ষোভকারীদের কারো হিংসাত্মক কাজ বা স্লোগানে সহিংসতা উসকে দেওয়ার মতো ভাষা ব্যবহার করতে দেখা যায়নি বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাসের উচিত দেশটির কাছে ৫৭ বাংলাদেশির মুক্তির আহ্বান জানানো উচিত।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: