কোটা সংস্কার আন্দোলনে জাতিসংঘের লোগো সম্বলিত সাঁজোয়া যানবাহন নিয়ে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এগুলো ভাড়ায় দেওয়া হয়। তবে ভুলে লোগো মোছা হয়নি!
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন স্থাপনা বিদেশি কূটনীতিকদের দেখানোর পর ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সেখানেই সাংবাদিকেরা জাতিসংঘের লোগোর প্রসঙ্গটি তোলেন।
বিক্ষোভ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জাতিসংঘের লোগো সংবলিত যানবাহন ব্যবহার নিয়ে জাতিসংঘ প্রশ্ন তুলেছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যানবাহনগুলো বাংলাদেশের। এগুলো ভাড়ায় (শান্তিরক্ষা মিশনে) দেওয়া হয়। তবে ভুলক্রমে (জাতিসংঘের) লোগো মুছে ফেলা হয়নি।’
গত সোমবার নিউইয়র্কে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, জাতিসংঘের লোগো শুধু শান্তিরক্ষা মিশনে নিযুক্ত থাকার সময় ব্যবহারের বিধান রয়েছে। বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলাকালে জাতিসংঘের লোগোসংবলিত যানের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি বাংলাদেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরা হয়েছে।
এ বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জাতিসংঘের কোনো যান ব্যবহৃত হচ্ছে না। আমি এখানে বিষয়টি পরিষ্কার করি। এগুলো (যান) জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। লোগোটা মোছা হয়নি, ভুলে। সেই লোগোগুলো এখন মুছে দেওয়া হয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, ঢাকায় ২৩ দেশের রাষ্ট্রদূতসহ ৪৯ দেশের কূটনীতিকেরা এসব স্থাপনা দেখতে যান। তিনি বলেন, কূটনীতিকেরা ক্ষয়ক্ষতি দেখে মন্তব্য করেছেন যে, এমন ধ্বংসযজ্ঞ লজ্জাজনক।
বিটিভি ভবনে সহিংসতায় ক্ষয়ক্ষতি কল্পনার বাইরে, এমন মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধী জঙ্গিগোষ্ঠী ধ্বংসযজ্ঞে পাকিস্তানিদের সহায়তা নিয়েছে।’
সহিংসতায় কতজনের প্রাণহানি ঘটেছে, বিদেশি কূটনীতিকেরা জানতে চেয়েছেন কিনা, ‘এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কতজন মারা গেছেন, এটা সবাই জানতে চায়। এ বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: