দুটি পৃথক অভিযানে সৌদির মাদক বিরোধী পুলিশ দেশটির বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মাদক ও চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৭ জন বাংলাদেশি রয়েছে বলে গাল্ফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেনারেল ডিরেক্টরেট জানিয়েছে, ৩.৩ কেজি উচ্চ আসক্তি সৃষ্টিকারী উদ্দীপক মেথামফেটামিন, ১২ হাজার ৪৩২টি অ্যামফিটামিন ট্যাবলেট এবং বিপুল পরিমাণ হ্যাশের ব্যবসা ও চোরাচালানের দায়ে রিয়াদে সাত বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে তারা।
এ ছাড়া অধিদপ্তর বন্দর নগরী জেদ্দায় তিনজন সৌদি নাগরিককে অ্যামফিটামিনের ২১ হাজারটি ট্যাবলেট চোরাচালানের জন্য গ্রেপ্তার করেছে।
আরো একটি পৃথক অভিযানে, পুলিশ সৌদি শহর মদিনায় এমফিটামিনের ৭৫ হাজার ৬০০টি ট্যাবলেটের চোরাচালানের দায়ে একজন প্রবাসী এবং একজন সৌদি নাগরিককে আটক করেছে। অন্যদিকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জিজানের সীমান্তে ৪০ কেজি অবৈধ মাদক পাচার করার সময় দুই ইথিওপিয়ানকে আটক করেছে সীমান্তরক্ষীরা।
সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরব মাদক চোরাচালানকারী এবং পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করেছে। যাকে বলা হচ্ছে, ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’।
এই মাসের শুরুর দিকে সৌদির জাকাত, ট্যাক্স এবং কাস্টমস অথরিটি (জেডএটিসিএ) জানিয়েছে, জেদ্দা বন্দরের কাস্টমস পরিদর্শকরা একটি চালানে লুকানো ৩৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৭৮টি ক্যাপ্টাগন পিল পাচারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। এর আগে গত মে মাসে সৌদি মাদক বিরোধী পুলিশ কংক্রিটের ব্লকের একটি চালানে লুকানো ৪.৭ মিলিয়ন অ্যামফিটামিন ট্যাবলেট জব্দ করেছিল এবং এর সঙ্গে জড়িত দুই বিদেশিকে গ্রেপ্তার করেছিল। একই মাসে শুল্ক কর্তৃপক্ষ বলেছিল, জেদ্দা বন্দরে আগত আলুর চালানে কোকেন পাচারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে।
মাদক চোরাচালান এবং পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত হলে সৌদি আরবে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।
সূত্র : গাল্ফ নিউজ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: