মতিউর ও তাঁর পরিবারের জমি-ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৪ জুলাই ২০২৪ ০৮:৫৬

গ্রাফিক্স গ্রাফিক্স

বাংলাদেশের বহুল সমালোচিত ছাগল কাণ্ডের সেই সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৪টি ফ্ল্যাট ও ১১৩৬ শতাংশ স্থাবর সম্পত্তি জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দেশটির মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন এই নির্দেশ দেন।

ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ও ধানমন্ডিতে থাকা চারটি ফ্লাট ও বরিশালের মুলাদী এবং নরসিংদীর রায়পুরায় এসব স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে।

মতিউরের পরিবারের সদস্যরা হলেন—তার স্ত্রী ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী, ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণব, মেয়ে ফারজানা রহমান ইপশিতা এবং অপর স্ত্রী শাম্মী আক্তার শিউলী।

মতিউর ও তার পরিবারের দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্থাবর সম্পত্তিগুলো ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়।

আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম দুদকের পক্ষে আবেদনটি করেন। তিনি জানান, ‘আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন এবং সংশ্লিষ্টদেরকে স্থাবর সম্পদগুলো ক্রোকের নির্দেশনা দিয়েছেন।’

এর আগে গত ২৪ জুন মতিউর, তার স্ত্রী লাকী ও ছেলে তৌফিকুর রহমানের ওপর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেন একই আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আবেদনে দুদক বলেছে এনবিআরের শুল্ক, আবগারি ও ভ্যাট আপিল ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের এই বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে যা আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

ইতিমধ্যে দুদক এসব সম্পদের খোঁজ পেয়েছে। তাদের আরও সম্পদ থাকতে পারে।

বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করলে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। তারা যেন তাদের সম্পত্তি হস্তান্তর করতে না পারেন, সেজন্য আদালতের আদেশ প্রয়োজন।

এর আগে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দুদক।

মুশফিকুর রহমান ইফাতের ১২ লাখ টাকা দিয়ে একটি ছাগল কিনতে এক লাখ টাকা বুকিং দেওয়া, ৭০ লাখ টাকার গরু কেনা ও বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহারের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনায় আসেন এনবিআরের এই সদস্য।

তবে ইফাত তার ছেলে এই বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। পরে স্বজনদের বরাতে জানা যায় ইফাত মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আক্তার শিবলীর দ্বিতীয় সন্তান।

দ্বিতীয় স্ত্রী ও ইফাত ইতিমধ্যে দেশ ছেড়েছেন। মতিউর রহমানও দেশ ছেড়েছেন বলে আলোচনা রয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: