শ্রম আইন লঙ্ঘনে ৬ মাসের সাজা হওয়া নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৩ জুলাই, বুধবার ৫০ পাতার রায়ের পর্যবেক্ষণে এই নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশের হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেন সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ এই পর্যবেক্ষণ দেন। এ সময় ড. ইউনূসের সাজা শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থগিতের আদেশ বাতিল করে দেন হাইকোর্ট বেঞ্চ। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সাজা কখনও স্থগিত হয় না।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজার রায় হয়েছে ড. ইউনূসসহ চার আসামির। ওই রায় দিয়েছিলেন ঢাকার তৎকালীন তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।
এরপর ২৮ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে যুক্ত দেখিয়ে খালাস চেয়ে আপিল করেন ড. ইউনূস। ওই রায় চ্যালেঞ্জ করলে ড. ইউনূসসহ চার আসামীকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।
পরে গত ১৬ এপ্রিল শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসকে ২৩ মে পর্যন্ত জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। এরপর গত ২৩ মে দ্বিতীয় দফায় ড. ইউনূসের জামিন ৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
জানা গেছে, ড. ইউনূস আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ফের শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করবেন।
ড. মোহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও অন্য আসামীরা হচ্ছেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: