কয়লা সংকটে বন্ধ বাংলাদেশের বৃহত্তর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৩০ মে ২০২৩ ০৮:১২

বাংলাদেশের পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র : সংগৃহীত ছবি বাংলাদেশের পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র : সংগৃহীত ছবি

 

কয়লা সংকটে কয়েকদিন ধরে বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তর পায়রা তাপবিদুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। এখন যে পরিমাণ কয়লা মজুদ আছে তা দিয়ে দ্বিতীয় ইউনিটটি চলতে পারবে দুই জুন পর্যন্ত। কর্তৃপক্ষ জানান, ডলার সংকটে কয়লার দাম পরিশোধ করতে না পারায় সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

কর্তৃপক্ষ আরো জানান, নতুন করে কয়লা আমদানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই এলসি ওপেন করা হবে। জুনের শেষে কয়লা এলে আবার পুরোপুরিভাবে চালু করা হবে বিদুৎকেন্দ্রটি।

তিন বছর আগে উৎপাদনে আসার পর এই প্রথম পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে দেশটির সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রা তাপবিদুৎকেন্দ্রে। তবে এর আগে ডলার সংকটে কয়লা না কিনতে পারায় রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রও দুই দফা বন্ধ হয়েছিল।

পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের একটি ২৫ মে বন্ধ করা হয়। ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বাকি আরেকটি ইউনিট চলবে ২ জুন পর্যন্ত। কয়লা না থাকায় সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ হবে দেশটির বৃহত্তম এ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি।

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব জানান, বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এতে নতুন করে কয়লা সরবরাহ করতে পারবেন তারা। দু-একদিনের মধ্যেই বাংলাদেশে এলসি ওপেন করা হবে। তবে এলসি ওপেন করার পরও দেশটিতে কয়লা যেতে অন্তত ২৫ দিন সময় সময় লাগবে। এ সময় বন্ধ থাকবে বিদ্যুৎ উৎপাদন। এরপর কয়লা এলে জুনের শেষ সপ্তাহে আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।

চীন ও বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগে ২০২০ সালে পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রম শুরু হয়। কেন্দ্রটি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা কিনতে ঋণ দেয় চীনা অংশীদার চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি (সিএমসি)। এপ্রিল মাস পর্যন্ত বকেয়া বিল দাঁড়ায় প্রায় ৩৯০ মিলিয়ন ডলার। এ বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় সিএমসি কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: