বাংলাদেশে বাড়ল বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসেই ঋণের সুদ ও আসল বাবদ খরচ ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এই প্রথম বিদেশি ঋণ পরিশোধের খরচ ৩০০ কোটি ডলারের ঘর পেরোল।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে বিদেশি ঋণের সুদাসল বাবদ ৩০৬ কোটি ৮১ ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে; গত অর্থবছরের একই সময়ে ২৪৬ কোটি ডলার সুদাসল পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এবার ৬০ কোটি ডলার বেশি পরিশোধ করা হয়েছে।
দেশের বৈদেশিক ঋণের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তৈরি সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।
ইআরডি সূত্রে আরও জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে বিদেশি ঋণের আসল পরিশোধ বাবদ খরচ হয়েছে ১৮১ কোটি ডলার, সুদ বাবদ খরচ ১২৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ এ বাবদ মোট ৩০৬ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে।
গত ১১ মাসে বিদেশি ঋণ ছাড় হয়েছে ৭০২ কোটি ডলার; এর মধ্যে ঋণ ৬৬১ কোটি ডলার আর অনুদান সাড়ে ৪০ কোটি ডলার।
কয়েক বছর ধরেই বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। বিদেশি ঋণ পরিশোধের এই চাপ শুরু হয়েছে এমন এক সময়ে, যখন দেশে দীর্ঘদিন ধরে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট চলছে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ডলার-সংকটের এই সময় বিদেশি ঋণ পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের কারণে রিজার্ভ ও বাজেটে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, চীন ও রাশিয়ার দেওয়া স্বল্প মেয়াদের ঋণের কারণে ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। ইতিমধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে। মেট্রোরেল প্রকল্পের ঋণ পরিশোধের কিস্তিও শুরু হয়েছে। আগামী দু–তিন বছরের মধ্যে অন্যান্য মেগা প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু হলে চাপ আরও বাড়বে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: