প্রবাসী আয়ে গতি, জুনের ২৩ দিনে এসেছে ২০৫ কোটি ডলার

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৫ জুন ২০২৪ ২১:৪৬

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি


ঈদুল আজহার মাস হিসেবে চলতি জুনে বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ের পালে সুবাতাস লেগেছে। জুনের প্রথম ২৩ দিনেই রেমিট্যান্স এসেছে ২০৫ কোটি ডলার। প্রবাসী বাংলাদেশিরা ঈদ উপলক্ষে দেশে থাকা স্বজনদের কাছে বেশি বেশি টাকা পাঠানোয় রেমিট্যান্স বেড়ে গেছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ব্যাংকিং মাধ্যমে ১ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে ২০৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স যায়। এর মধ্যে শুধু ২৩ জুন একদিনেই হয় ১৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, রেমিট্যান্স আসার গতি ঠিক থাকলে মাসের বাকি ৭ দিনে আরও অন্তত ৩০ কোটি ডলার আয় হতে পারে। সেই হিসেবে মাস শেষে প্রবাসী আয় দাঁড়াতে পারে ২৩৫ কোটি ডলার বা কাছাকাছি।

তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুনে রেমিট্যান্স এসেছিল ২২০ কোটি ডলার। আর গত মে মাসে বাংলাদেশে ২২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে, মাসটিতে ২৬০ কোটি ডলার বাংলাদেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

হিসাব অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ২,১৩৭ কোটি ডলার। তার সঙ্গে সর্বশেষ মাস জুনের ২৩ দিনের রেমিট্যান্স মিলিয়ে দাঁড়াচ্ছে ২৩৪২ কোটি ডলার।

এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২,১৬১ কোটি ডলার। এছাড়াও ২০২১-২০২২ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০৩ কোটি ডলার। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে এসেছিল ২৪৭৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

বিশ্বজুড়ে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলাদেশে আত্মীয়স্বজনের কাছে বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় সাধারণত দুই ঈদের সময় বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়ে থাকেন। এবারের কোরবানির ঈদেও সেটির ব্যতিক্রম হয়নি।

হঠাৎ করে প্রবাসী আয়ের গতি বেড়ে যাওয়া নিয়ে অবশ্য নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে ব্যাংক খাতে। অনেকে বলছেন, আগে বিদেশে পাচার করে নেওয়া অর্থ এখন অনেকেই রেমিট্যান্সের নামে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনছেন।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি ব্যাংকের এক ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এবার বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছে সরকার। এ জন্য কেউ কেউ বিদেশে পাচার করা টাকা বাংলাদেশে ফেরিয়ে আনছেন, যা তাদের বৈধ সম্পদ হিসেবেই গণ্য হবে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: