বিকল্প পথে সেন্টমার্টিনে গেল বাংলাদেশের খাদ্য জাহাজ

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৪ জুন ২০২৪ ০৭:৫৩

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির চলমান সংঘাতে গত আটদিন ধরে বন্ধ রয়েছে সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌরুট। ফলে সেন্টমার্টিন দ্বীপে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্য সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে বিকল্প পথে বঙ্গোপসাগর হয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে খাদ্য সামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাঠিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

১৪ জুন, শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে কক্সবাজার নুনিয়ারছড়াস্থ বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে জেলা প্রশাসনের বরাদ্দকৃত খাদ্য সহায়তাসহ বারো আউলিয়া নামের একটি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ওই জাহাজে দ্বীপের ব্যবসায়ীদের জন্য প্রায় এক মাসের পণ্য সামগ্রী ও পাঁচটি কোরবানির গরু ছিল।

এ দিকে বৃহস্পতিবার সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া তিন শতাধিক মানুষকে চারটি কাঠের ট্রলার করে বঙ্গোপসাগর হয়ে টেকনাফ নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মেরিনড্রাইভ সংলগ্ন সাবরাং মুন্ডার ডেইল নামানো হয়। পরে একই ট্রলারে করে টেকনাফে অবস্থানরত সেন্টমার্টিনের প্রায় চার শতাধিক বাসিন্দাকে ফেরত নিয়ে যাওয়া হয়।

তবে বৈরী আবহাওয়া ও সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কারণে সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে কাঠের ট্রলারে সাগরপথে যাতায়ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘পরীক্ষামূলকভাবে কাঠের ট্রলারে করে সাগরপথে সেন্টমার্টিনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ট্রলারের মাঝিমাল্লা এবং দ্বীপের বাসিন্দারাও এ পথে চলাচলে বিপদের আশঙ্কা করছেন। তাই শুক্রবার থেকে সাগরপথে কাঠের ট্রলারে সেন্টমার্টিনে যাত্রী পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

‘তবে জেলা প্রশাসন কক্সবাজার থেকে যে জাহাজটি দ্বীপে পাঠাচ্ছেন কেউ চাইলে ওই জাহাজে বিনা খরচে দ্বীপে যেতে পারবেন এবং দ্বীপ থেকে কেউ ফিরতে ইচ্ছে করলে একই জাহাজে ফিরতে পারবেন।’

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: