বাংলাদেশে ১৯৭২-৭৩ সাল থেকে ২০২২-২৩ সাল পর্যন্ত ৫০ বছরে কালো টাকা ও অর্থপাচারের পরিমাণ ১৪৪ লাখ ৪৬ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত। তিনি বলেন, আর এর মধ্যে পুঞ্জীভূত কালো টাকার পরিমাণ ১৩২ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আর বিদেশে অর্থপাচারের পরিমাণ ১১ লাখ ৯২ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশের রাজধানীতে অর্থনীতি সমিতির অডিটরিয়ামে ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনা ২০২৩-২৪ : বৈষম্য নিরসনে জনগণতান্ত্রিক বাজেট' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন ড. আবুল বারকাত এই তথ্য উপস্থাপন করেন।
তথ্য তুলে ধরে ড. বারকাত বলেন, বিকল্প বাজেটে কালো টাকাকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। ১৯৭২-৭৩ সাল থেকে ২০২২-২৩ সাল পর্যন্ত ৫০ বছরে বাংলাদেশে কালো টাকার পরিমাণ মোট ১৩২ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যার মাত্র ২ শতাংশ সরকারকে উদ্ধারের প্রস্তাব করেছি। এটা যদি উদ্ধার করা সম্ভব হয়, তাহলে সরকারের আহরণ হবে ২ লাখ ৬৫ হাজার ৭০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে অর্থপাচারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচারের মোট পরিমাণ ১১ লাখ ৯২ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা। ওই অর্থের মাত্র ৫ শতাংশও যদি উদ্ধার করা যায় তাহলে এখান থেকে সরকারের আহরণ হবে ৫৯ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ উদ্ধারের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান উৎস হতে পারে কালো টাকা ও অর্থপাচারের ওই খাত।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. বারকাত বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের নতুন আয়কর আইন ২০২৩ করা হয়েছে। ওই আইন দিয়ে কালো টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হবে না। কারণ কালো টাকা নিয়ে ওই আইনে কিছুই বলা নেই।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: