নানান অজুহাতে বাংলাদেশের নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বেড়েই চলছে। ভোজ্যতেল, চিনি, কাঁচামরিচ, আদা, রসুন, জিরা ও পেঁয়াজের নতুন দামে দিশেহারা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। বাংলাদেশে দুই মাস ধরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার লাগামহীন হয়ে যায়।
দফায় দফায় দাম বাড়তে বাড়তে তা কেজিতে ৮০ টাকায় উঠে যায়। বৃষ্টির অজুহাতে বাড়ছে সবজির দাম। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় কাঁচা মরিচ কেজিতে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি।
২৬ মে, শুক্রবার সকালে বাংলাদেশের রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজারে এমন চিত্র দেখা যায়।
বাংলাদেশে এক মাসের ব্যবধানে আদা কেজি প্রতি ১৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ৩০০ টাকা দরে। রসুন কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে। কালো এলাচ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৮০০ টাকায়। জিরা বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে। আর কিছু দিন পরে কোরবানির ঈদ। ঈদের আগেই বেড়ে চলেছে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম।
বাংলাদেশের রাজধানীর কাওরান বাজারের বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. শফিউদ্দিনের বলেন, “দুই ছেলে, স্ত্রী ও বৃদ্ধ মাকে নিয়ে আমার পরিবার। সেগুনবাগিচা এলাকায় থাকি। এই বেতন দিয়ে গত দুই বছর আগেও পরিবার নিয়ে বেশ ভালো ছিলাম। কিন্তু এখন ভালো নেই।”
বাংলাদেশের কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা বদর আলী বলেন, “গত মাসে পেঁয়াজের কেজি কিনেছি ৪০ টাকা কের। এখন সেই একই পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি কিনতে হচ্ছে। এক লাফে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ডাবল বেড়ে গেছে। শুধু পেঁয়াজ না, বাজারে এখন সব কিছুর দাম অস্বাভাবিক। চাল, তেল, চিনি, ডাল কিনতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠছে।”
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আল আমিনবলেন, “পেঁয়াজের দাম বাড়া দেখে আমরাও অবাক। দুদিনে দুই দফায় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২৫ টাকা বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহে আমরা এক কেজি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা বিক্রি করেছি। পাইকারিতে দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন সেই পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে পাইকারি বাজারে গিয়ে শোনা যাচ্ছে, বৃষ্টিতে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে, এ কারণে দাম বেড়েছে।”
বাংলাদেশের মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-২৯০ টাকা। ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন ১৪৫ টাকা।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৪৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৬৫০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: