বাংলাদেশ ও কাতার বহুমুখী ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদার ও সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সহায়তা করতে ১০টি সহযোগিতার বিষয়ে নথি সই করেছে, যার পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক।
২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এসব নথি সই প্রত্যক্ষ করেন।
চুক্তি সই হওয়া পাঁচটি বিষয় হলো- বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে আইনি ক্ষেত্রে সহযোগিতা চুক্তি; পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা সম্পর্কিত চুক্তি; কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে আয়ের ক্ষেত্রে দ্বৈত কর পরিহার ও কর ফাঁকি রোধে চুক্তি; সাগর পথে পরিবহন চুক্তি এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও কাতার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (কিউসিসিআই) মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ (জেবিসি) গঠনে চুক্তি।
পাঁচটি সমঝোতা স্মারক হলো বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে ক্রীড়া ও যুব ক্ষেত্রে সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক; কাতার ও বাংলাদেশের শ্রম মন্ত্রণালয়ের মধ্যে জনশক্তি কর্মসংস্থান (শ্রম) ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক; বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক; বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য সমঝোতা স্মারক এবং কাতার পোর্টস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ‘মাওয়ানি কাতার’ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।
অনুষ্ঠানে ঢাকার একটি সড়ক ও পার্কের নামকরণ করা হয় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় নির্মিত পার্কটি এবং মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমিরের নামে নামকরণ করা হয়।
বর্তমানে সড়ক ও পার্কটি যথাক্রমে শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এভিনিউ ও শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি পার্ক নামে পরিচিত।
শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সকালে তার কার্যালয়ে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাদের একান্ত বৈঠক এবং এরপর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে কাতারের আমিরের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করছে।
সূত্র : ইউএনবি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: