গিনেস বুকে ঠাঁই পেতে বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের হাওরে আঁকা হচ্ছে বৈশাখের আলপনা

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৪৪

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

বাংলার সংস্কৃতিকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে ও গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিতে কিশোরগঞ্জের হাওরে আলপনা আঁকা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় কিশোরগঞ্জের মিঠামইন জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়কে আলপনা আঁকার কাজ শুরু হয়।

এশিয়াটিক এক্সপেরিয়েনশিয়াল মার্কেটিং লিমিটেড, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেড ও বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগের এই আয়োজনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘আলপনায় বৈশাখ ১৪৩১’।

গতকাল এই আলপনা আঁকার কাজের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য ও সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তিনি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের চিফ অপারেটিং কর্মকর্তা ও পরিচালক মো. মহসিন হাবিব চৌধুরী, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের কর্মকর্তা মনজুলা মোরশেদ, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, জেলা পরিষদ প্রশাসক জিল্লুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, মিঠামইন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদ মিয়া, চিত্রশিল্পী মো. মনিরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজকদের সূত্রে জানা গেছে, ৬৫০ জন চিত্রশিল্পী ১৪ কিলোমিটার ‘অলওয়েদার’ সড়কে আলপনা আঁকার কাজ করছেন। এতে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার লিটার রং লাগবে। এর আগে সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ আলপনা ছিল। তবে সেটা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পায়নি। গতকাল রাতে ২০টি অটোরিকশায় বড় বড় এলইডি লাইট জ্বালিয়ে কাজ চলে।

গতকাল মিঠামইনে জিরো পয়েন্টে আলপনা আঁকা শুরু হয়। এখান থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার অলওয়েদার সড়কের প্রায় ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এ নিয়ে হাওরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। আজ শনিবার অনেকেই মিঠামইন জিরো পয়েন্টে আলপনার কাছে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছেন।

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা হাওরবাসী খুবই খুশি যে বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হচ্ছে হাওরে। আগামীকাল রোববার এ কর্মযজ্ঞ শেষ হবে। এরপরই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের জন্য আমরা আবেদন করব। আশা করছি, এক মাসের মধ্যে আমাদের আশা পূর্ণ হবে।’ তিনি আরও বলেন, হাওরবাসীর স্বপ্নের এই অলওয়েদার সড়কে আগে দেশি পর্যটকেরা এসেছেন। এখন যেহেতু এখানে বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা হচ্ছে, তাই সারা বিশ্বে এর প্রচার ও প্রসার ঘটবে এবং বিদেশি পর্যটকেরাও হাওর দেখতে আসবেন।

চিত্রশিল্পী আল মুকতাদির খান বলেন, আজ বিকেল পাঁচটা থেকে আবার আলপনার কাজ শুরু হয়েছে। অষ্টগ্রামের ভাতলা এলাকা থেকে মিঠামইনের দিকে ৮ থেকে ১০টি পয়েন্টে রঙের কাজ চলে। তাঁরা সারা রাত কাজ করবেন। আগামীকাল সকাল সাতটার মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা করছেন।

আগামীকাল ১৪ এপ্রিল (পয়লা বৈশাখ) আলপনা আঁকার এই শৈল্পিক কাজ পরিদর্শন করবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: