বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি ও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পাহাড়ে যৌথ অভিযানে আটক ৫২ নারী-পুরুষকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে বান্দরবানের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. নাজমুল হোছাইনের আদেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
বান্দরবান সদর কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক একে ফজলুল হক জানান, আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার বিকালে ১৮ নারীসহ ৫২ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আগের দিন আরো দুইজনকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।
বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় তিনটি ব্যাংকে সশস্ত্র হানা ও ডাকাতির ঘটনায় সেনা-র্যাব-পুলিশসহ যৌথবাহিনীর সাড়াশি অভিযানে পাহাড় থেকে এ পর্যন্ত ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার ও তাদের কারাগারে পাঠানো হলো।
বান্দরবানের রুমা ২ এপ্রিল রাতে সোনালী ব্যাংকে এবং পরদিন ৩ এপ্রিল দুপুরে থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হানা দেয় সশস্ত্র পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। তারা রুমার ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ এবং থানচির দুই ব্যাংক থেকে টাকা ও পুলিশ-আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাই করে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী জানিয়েছে, পাহাড়ে নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় রুমা ও থানচিতে ছয়টি মামলা করা হয়। পরে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী।
সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে অভিযানে অংশ নিয়েছে সেনা, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও আনসার বাহিনী। অভিযানে রবি ও সোমবার রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে ১৮ নারীসহ ৪৮ জন এবং থানচি থেকে এক নারীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আজ মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হলো।
এর আগে বান্দরবান সদর থেকে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) প্রধান সমন্বয়কারী চেওসিম বমসহ দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত পুলিশের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ জানান, রুমা থেকে গ্রেপ্তার ৪৮ জনের মধ্যে ৪৬ জনকে ব্যাংক ডাকাতির মামলায় এবং ২ জনকে অস্ত্র মামলায় আসামি করা হয়েছে। এছাড়া থানচি থেকে গ্রেপ্তার ৪ জনকে ব্যাংক ডাকাতির মামলায় আসামী করা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: