দূষণে বছরে অকালমৃত্যু ঘটছে পৌনে ৩ লাখ বাংলাদেশির

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৬:৩১

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি


উদ্বেগজনক মাত্রায় বায়ু দূষণ ও পানি দূষণসহ পরিবেশগত স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংক বলছে, দূষণের কারণে বাংলাদেশে বছরে অকাল মৃত্যু ঘটছে অন্তত ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের। বিশেষ করে বায়ু দূষণে তুলনামূলক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দরিদ্র জনগোষ্ঠী, বয়স্ক নারী-পুরুষ ও পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা। দূষণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বছরে অন্তত ১ লাখ ৩৩ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঠেকানো সম্ভব।

২৮ মার্চ, বৃহস্পতিবার ‘বাংলাদেশ: কান্ট্রি এনভায়রনমেন্ট অ্যানালাইসিস’ নামে এক প্রতিবেদনে এসব কথা জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির ঢাকা অফিস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি তুলে ধরেছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা, বায়ু দূষণ ও সীসা দূষণ সবচেয়ে বেশি অকাল মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘরের ভেতরে ও ঘরের বাইরের বায়ু দূষণ জনস্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে, যা ৫৫ শতাংশ অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী।

বিশ্বব্যাংক বলেছে, বায়ু ও পরিবেশ দূষণ বাংলাদেশের শিশুদের ওপর ভয়ানক প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে বাতাসে থাকা সীসার বিষক্রিয়া শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে মারাত্মক ক্ষতিসাধন করছে। এতে বছরে প্রাক্কলিত আইকিউ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ২০ মিলিয়ন পয়েন্ট।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গৃহস্থালিতে গাছ বা লতাপাতার জ্বালানিতে রান্নাই বায়ু দূষণের বড় উৎস এবং তাতে নারী ও শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিত শিল্প বর্জ্য, প্লাস্টিক বর্জ্যসহ অন্যান্য উৎসের অপরিশোধিত নোংরা ও দূষিত পানির কারণে বাংলাদেশে নদীনালাগুলোর পানিও গুণগত মানে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে।

এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নতি এবং শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির গতি টেকসই রাখতে বাংলাদেশ কোনোভাবেই পরিবেশকে উপেক্ষা করতে পারে না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই আমরা দেখছি, পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলেও সেটি টেকসই হয় না।

বিশ্বব্যাংকের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও প্রতিবেদনের সহ-প্রণেতা আনা লুইসা গোমেজ লিমা বলেন, বাংলাদেশ সময়মতো সঠিক নীতি ও কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণের প্রবণতা বদলাতে ফেলতে পারে। সেজন্য পরিবেশ সুরক্ষা জোরদারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারে দেশটি।

লিমা বলেন, বিশেষ করে রান্নায় সবুজ জ্বালানির জন্য বিনিয়োগ ও প্রণোদনা, সবুজ অর্থায়ন বাড়ানো ও সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দূষণ কমানোর ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: