ড. ইউনূসসহ ৪ জনের সাজার স্থগিতাদেশ বাতিল

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৮ মার্চ ২০২৪ ০৯:৫৬

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস : সংগৃহীত ছবি নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস : সংগৃহীত ছবি

শ্রম আইন লঙ্ঘনের এক মামলায় বাংলাদেশের গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের স্থগিতাদেশ বাতিল করেছে হাইকোর্ট। এর মধ্যে রয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

১৮ মার্চ সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়েছে, আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই চার জনের সাজা কার্যকর থাকবে। তবে তারা জামিন পেয়েছেন বলে শাস্তি স্থগিত থাকবে। জরিমানার বিষয়টিও স্থগিত থাকবে। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদেশের বাস্তবায়নযোগ্য অংশ স্থগিত থাকবে। এছাড়া, আপিল ট্রাইব্যুনাল যত দ্রুত সম্ভব এই আপিল নিষ্পত্তি করবে। বৈদেশিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই চারজনকে সংশ্লিষ্ট আদালতকে অবহিত করতে হবে।

২০২৪ সালের ১লা জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত চারজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা শ্রম আইন লঙ্ঘনের একটি মামলায় এই রায় হয়েছিল।

এর বিরুদ্ধে ২৮শে জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজন আপিল করেন এবং ওইদিনই শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল তা শুনানির জন্য গ্রহণ করে। একই সাথে ট্রাইব্যুনাল তাদের জামিন মঞ্জুর করে তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় ৩রা মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে দেয়।

তৃতীয় শ্রম আদালতের স্থগিতাদেশের কিছু অংশের বিরুদ্ধে ৪ঠা ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে একটি ফৌজদারি রিভিশন মামলা দায়ের করেন বাদী ডিআইএফই।

এর প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট একটি রুলসহ আদেশ জারি করে। রুলে প্রশ্ন করা হয় যে, কেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের করা ২৮শে জানুয়ারি তারিখের স্থগিতাদেশ বাতিল করা হবে না।

এই রুলের ওপর শুনানি হয় ৬ই ও ১৪ই মার্চ। এরপর গতকাল ১৮ই মার্চ আদেশের জন্য দিন ধার্য করে হাইকোর্ট। বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে আজ হাইকোর্ট তৃতীয় শ্রম আদালতের রায়কে নিরঙ্কুশ ঘোষণা করেছে।

মামলায় কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ড. ইউনূস ও অন্যদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও খাজা তানভীর আহমেদ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: