বাংলাদেশে ডিজিটাল ওয়েট মেশিন জালিয়াতি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ। এ চক্রটি রিমোর্ট কন্ট্রোলার দিয়ে পণ্যের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে ব্যবসায়ীদের ঠকাতেন।
১৭ মার্চ রোববার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বিষয়টি জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। গতকাল শনিবার রাতে ওয়ারি থানার কাপ্তান বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন সিরাজুল ইসলাম ওরফে সজীব, মো: মনির, মো: লিটন ও আলাউদ্দিন খাঁন। এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি ডিজিটাল ওয়েট মেশিন, সাতটি রিমোট কন্ট্রোল, একটি স্ক্রু ড্রাইভার, একটি তাতাল ও একটি কাঁচি উদ্ধার করা হয়।
হারুন অর রশীদ বলেন, রমজান মাস চলছে। সামনে ঈদ। ডিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। বাজার মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে। আমরা অভিযানে নেমে দেখলাম ঢাকার পাইকারি বাজারগুলোতে ওজনে কম দেয়া হচ্ছে। আমাদের অভিযানে রিমোর্ট কন্ট্রোলের সাহায্যে ওজনে কম দেয়া চক্রের চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত করতে গিয়ে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এটি প্রতারণার একটি নতুন ধরন।
তিনি বলেন, তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের একটি টিম ওয়ারী থানার কাপ্তান বাজার এলাকায় একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে সিরাজুল ইসলাম ওরফে সজীবকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, গ্রেফতার সজীব একজন টিভি মেকানিক। তিনি অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ থেকে এক ধরনের বিশেষ সার্কিট ও রিমোট সংগ্রহ করে। যার দ্বারা ডিজিটাল ওয়েট মেশিনকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। পণ্যের ওজন রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ইচ্ছে মতো কমানো যায়। ওজনে কম দেয়া পণ্য বিভিন্ন অসাধু ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। গ্রেফতার লিটন ও আলাউদ্দিন খাঁন ইতিপূর্বে অর্ডার করা রিমোট নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল ওয়েট মেশিন সজিবের কাছে থেকে ডেলিভারি নেয়ার জন্য এসেছিল। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিজিটাল মেশিনের মাধ্যমে প্রতারণাকারী মো: মনিরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: