জিম্মি করা এমভি আবদুল্লাহর পিছু নিয়েছে ইইউর জাহাজ

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৪ মার্চ ২০২৪ ২০:১৯

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশের পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ পড়েছে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে। বাংলাদেশি জাহাজটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে। আর জাহাজটিকে অনুসরণ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি জাহাজ। গতকাল বুধবার ইইউর সামুদ্রিক নিরাপত্তা বাহিনী এক বিবৃতিতে খবরটি জানিয়েছে। 

গত মঙ্গলবার এমভি আবদুল্লাহকে সোমালিয়ার জলদস্যুদের অপহরণের কথা প্রথম জানিয়েছিল ব্রিটিশ সেনাবাহিনী। বলা হয়েছিল, সোমালিয়ার উপকূলীয় রাজধানী মোগাদিসু থেকে প্রায় ৭০০ মাইল (১,১০০ কিলোমিটার) পূর্বে ঘটেছিল অপহরণের এই ঘটনা।

ইইউর সামুদ্রিক নিরাপত্তা বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, অপারেশন আটলান্টার অংশ হিসেবে মোতায়েন করা একটি ইইউ জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে অনুসরণ করছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেখানে পরিস্থিতি এমন যে, জলদস্যুরা জাহাজটির ২৩ নাবিককে আটক এবং জিম্মি করেছে। নাবিকেরা নিরাপদে আছেন। জাহাজটি এখনো চলমান আছে এবং জাহাজটি সোমালি উপকূলের দিকে যাচ্ছে।

ব্রিটিশ মেরিটাইম সিকিউরিটি কোম্পানি অ্যামব্রেয়ের মতে, মোজাম্বিকের রাজধানী মাপুতো থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়া যাওয়ার সময় বিশজন সশস্ত্র জলদস্যু (বাংলাদেশি পতাকাবাহী) জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল।

চট্টগ্রামের শিল্পগ্রুপ কবির গ্রুপের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে ১৯ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বেলা দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে।

জাহাজটি দস্যুদের কবলে পড়ার পর সেদিনই অডিও বার্তা ও মোবাইল ফোন কথোপকথনের মাধ্যমে নাবিকদের সঙ্গে শিপিং কোম্পানি ও আত্মীয়স্বজনদের যোগাযোগ হয়। জলদস্যুরা সবার ফোন কেড়ে নেওয়ায় যতটুকু যোগাযোগ ছিল তাও বন্ধ হয়ে যায়। মুক্তিপণের জন্যও দস্যুদের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। সব মিলে জিম্মি নাবিকদের নিরাপত্তা নিয়ে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নাবিকদের স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা চরমে উঠেছে।

বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ার ৪৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মুক্তিপণের জন্য এখনো কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।

সোমালি উপকূলে একসময় জলদস্যুতা ছিল ব্যাপক মাত্রায়। ২০১১ সালে এর মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ার পর এক সোময় তা কমেও যায়। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নতুন কয়েকটি হামলার ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: