নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গড়া প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কল্যাণকে আয়কর হিসেবে ১১৯ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের আদালত। ৭ মার্চ বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। ২০১০-১১ থেকে পরবর্তী সাত করবর্ষের জন্য এ অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘গ্রামীণ টেলিকম ও গ্রামীণ কল্যাণ যথারীতি কর দিয়ে আসছে। এতদিন এভাবেই সবকিছু চলেছে। সেই ফাইলগুলো আবার চালু করে পুনরায় ট্যাক্সগুলো ধরা হলো। তখন গ্রামীণ কল্যাণ বলল, এগুলো আমাদের জন্য প্রযোজ্য নয়। কারণ একবার ট্যাক্স পরিশোধ করা হয়েছে; দুবার-তিনবার তো আর ট্যাক্স হয় না—এটাই হলো সমস্যা; এটা তো ট্যাক্স ফাঁকি না। এর প্রতিকার চেয়েই গ্রামীণ কল্যাণ থেকে ট্যাক্স বিভাগে আপিল করা হয়। ট্যাক্স বিভাগ সেটি না মানায় হাইকোর্টে আসা হয়। কিন্তু হাইকোর্ট ১১৯ কোটি টাকা কর পরিশোধের রায় দিলেন।’
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে ১৯৯৬ সালে গ্রামীণ কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করেন ড. ইউনূস। বর্তমানে তিনি অলাভজনক এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন।
কর ফাঁকির অভিযোগের বিষয়ে গত জুনে ইউনূস সেন্টার একটি বিবৃতি দেয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ড. ইউনূসের যে টাকা নিয়ে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনে আলাপ চলছে, সেটার পুরোটাই তার উপার্জন করা। উপার্জনের সূত্র প্রধানত তার বক্তৃতার ওপর প্রাপ্ত ফি, বই বিক্রির টাকা ও পুরস্কারের টাকা। পুরো টাকাটাই বিদেশে অর্জিত। এ টাকা বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলে আনা হয়েছে। কর বিভাগ তা অবগত আছে। কারণ সব টাকার হিসাব তার আয়কর রিটার্নে উল্লেখ থাকে।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: