রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৪:৩৯

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

পবিত্র রমজান মাসে বাংলাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে স্কুল বন্ধ রাখতে আবেদন করা হয়েছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি, রবিবার জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মণ্ডল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন।

রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, শিক্ষা সচিব, উপসচিব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, উপসচিব শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।

পরে আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মন্ডল সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানে উল্লেখ করা আছে। প্রতি বছর পবিত্র রমজান মাসে শিশু-কিশোরসহ সবার শরীর স্বাস্থ্যের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে পুরো রমজান মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। তবে চলতি বছরের পুরো রমজান মাসে মাদরাসা বন্ধ থাকলেও প্রাথমিক বিদ্যালয় রমজানের প্রথম ১০ দিন এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় রমজানের প্রথম ১৫ দিন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা সংবিধানের ২৬, ২৭, ২৮, ৩১, ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এসব কারণে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। কোনো সাড়া না পেয়ে আজ রিট দায়ের করেছি।

চলতি সপ্তাহে বিচারপতি নাঈমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানি হতে পারে বলে জানান এই আইনজীবী।

রিটে রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং রমজান মাসের প্রথম ১৫ দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সরকারের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রমজান মাসে স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শিক্ষণ ঘাটতি পূরণকল্পে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধনপূর্বক আসন্ন পবিত্র রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বাংলাদেশে আগামী ১২ মার্চ থেকে রোজা শুরু হবে।

অন্যদিকে, আগামী ১১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: