নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, আজারবাইজান থেকে বৃহত্তর বিনিয়োগ আহ্বান বাংলাদেশের

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩৫

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি


বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য ও আজারবাইজানের কাছে আরও বড় বিনিয়োগ আহ্বান করেছেন। নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে, যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক সচিব ডেভিড ক্যামেরন, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথক দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে এ আহ্বান জানান।

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন (এমএসসি) ২০২৪-এর সাইডলাইনে কনফারেন্স ভেন্যু হোটেল বেইরিশার হফে এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠকের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেদারল্যান্ডসকে অন্যতম প্রধান উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের অনুরোধ জানিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশে ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়ন এবং ড্রেজিংয়ের ক্ষেত্রে গৃরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে নেদারল্যান্ডস ব্যাপক অবদান রেখেছে।’

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যকে বাংলাদেশে আরও বেশি পরিমাণে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক কীভাবে উন্নত করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানান ড. হাছান মাহমুদ।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের অবদানের প্রশংসা করে এটিকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করেন। শেখ হাসিনা ক্যামেরনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।

এ সময় আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি আগামী নভেম্বরে আজারবাইজানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কপ ২৯-এর আগে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

তারা বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গাজা আক্রমণের অবসানের বিষয়েও আলোচনা করেন।

সিনিয়র পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: