মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের জেরে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সে দেশের সেনা, বিজিপি ও সরকারি দপ্তরের ৩৩০ সদস্যকে সে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। আগামীকাল ১৫ ফেব্রুয়িারি, বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানীর নৌবাহিনীর জেটি ঘাট দিয়ে তাঁদের হস্তান্তর করবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি, বুধবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের তমরু রাইট ক্যাম্প ও ঢেঁকিবনিয়া সীমান্তচৌকি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির সঙ্গে সরকারি বাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ হয়। সংঘাতে টিকতে না পেরে মিয়ানমারের সেনা, বিজিপি ও সরকারি দপ্তরের ৩৩০ জন সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। তাঁদের নিরস্ত্র করে বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়। ইতিমধ্যে বিদ্রোহীরা সরকারি বাহিনীকে হটিয়ে কয়েকটি সীমান্তচৌকি দখলে নিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের নাগরিকদের স্বদেশে পাঠানোর জন্য কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ইতিমধ্যে ৩২৬ জনের বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করেছে। বাকি চারজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁদের আজ বুধবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। আজ তাঁদের বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করা হবে।
বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা শেষে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের সে দেশের নৌ বাহিনীর একটি জাহাজে করে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় গভীর সাগরে অবস্থান করবে। পৃথক নৌযানে করে ওই জাহাজে নিয়ে তাঁদের হস্তান্তর করা হবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: