ড. ইউনূসকে ৫০ কোটি টাকা জমার নির্দেশ হাইকোর্টের

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:৫৮

ড. মুহাম্মদ ইউনূস : সংগৃহীত ছবি ড. মুহাম্মদ ইউনূস : সংগৃহীত ছবি

শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় বাংলাদেশের শ্রম আপিল আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে গিয়েও হারলেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে ২০১১ সাল থেকে ১৩ করবর্ষের জন্য ৫০ কোটি টাকা জমা দিয়ে আয়কর আপিল দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ১২ ফেব্রুয়ারি, সোমবার এ রায় দেন।

গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের অন্য তিন কর্মকর্তা শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ২৮ জানুয়ারি আদালতে উপস্থিত হয়ে শ্রম আপিল আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেছিলেন।

হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার সেই আবেদনই খারিজ করে রায় দেন । একইসঙ্গে গ্রামীণ টেলিকমকে আদেশ দেন, নিয়ম অনুযায়ী দাবিকৃত আয়করের ২৫ শতাংশ টাকা আগে জমাদান করে তারপর যাতে এনবিআরের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন।

রায়ে হাইকোর্ট বলেন, আইন অনুযায়ী যেটা দেওয়ার, সেটাই ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দিতে হবে। এখানে কোনো অনুকম্পা দেখানোর সুযোগ নেই।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তাহমিনা পলি জানিয়েছেন, ২০২০ সালের নভেম্বরে ২০১১ থেকে ১৩ বছরের জন্য প্রায় ২৫০ কোটি টাকা আয়কর দাবি করে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্টকে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে এনবিআরের কাছে অর্থ নেই বলে মওকুফের আবেদন করে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্ট। এনবিআর ওই আবেদন প্রত্যাখ্যান করে দেয় কারণ, তখনও তাদের ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ছিল।

অ্যাকাউন্টে অর্থ রয়েছে জানিয়ে এনবিআর ফের অর্থ চেয়ে নোটিশ দেওয়ার পর গ্রামীণ টেলিকম সেই নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে।

এরপর গত তিন বছরে বিভিন্ন আদালত ঘুরে মামলাটি হাইকোর্ট বেঞ্চে আসে। অবশেষে শুনানি শেষে সোমবার গ্রামীণ টেলিকমের রিট আবেদনটি খারিজ করে দিলেন আদালত।

এর আগে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান শেখ মেরিনা সুলতানা একটি মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস এবং তিনজন পরিচালক- আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও এম শাহজাহানকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে ৪ জনকেই ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২৫ দিনের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন আদালত।

সোমবার রায়ের পর আসামীরা পৃথক জামিন আবেদন করলে চারজনকেই ৫০ কোটি টাকা জমা দিয়ে আয়কর আপিলের শর্তে জামিন দেন আদালত।

ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি করেছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক এসএম আরিফুজ্জামান।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: