বাংলাদেশ থেকে এই প্রথম চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। সৌদি আরবের দৈনিক আরব নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদির রাষ্ট্রদূত ইসা আল-দুহাইলান এই তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবে বসবাসরত প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের মাঝে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র কয়েক ডজন। এর আগে, ২০২২ সালে সৌদি আরবে বাংলাদেশি চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়ে দুদেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
আরব নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রদূত ইসা আল-দুহাইলান বলেছেন, সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে কোনও মেডিকেল কর্মী নিয়োগ করেনি। তবে বর্তমানে আমরা তাদের নিয়োগ শুরু করেছি। কারণ তারা ইতিমধ্যে আমাদের মানদণ্ডে পৌঁছেছে।
প্রথম গ্রুপে প্রায় ৬০ জনের মতো চিকিৎসা কর্মী ছিলেন। রাষ্ট্রদূত সৌদিতে বাংলাদেশি চিকিৎসাকর্মীদের এই নিয়োগকে কেবল শুরু বলে মন্তব্য করেছেন। রাষ্ট্রদূত বলেছেন, `এ সংখ্যা ইনশাআল্লাহ, অদূর ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। এটা কেবল বাজারকে শুরু করার প্রক্রিয়া এবং কেমন চলে তা দেখার জন্য।’
তিনি বলেন, সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি দল গত বছর দুবার বাংলাদেশ সফর করেছে। তারা আরও চিকিৎসাকর্মী নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সফর অব্যাহত রাখবে। সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করতে যাওয়া পরবর্তী দলে নার্সরা থাকবে।
বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খায়রুল আলম বলেছেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ আমাদের ১৫০ জনেরও বেশি প্রশিক্ষিত নার্স পাঠাতে বলেছিল। আমাদের মন্ত্রণালয় এখন শর্তগুলো যাচাই-বাছাই করছে। যেমন বাংলাদেশি নার্সদের কোথায় নিয়োগ দেওয়া হবে, তারা সরকারি হাসপাতাল বা বেসরকারি স্বাস্থ্য সুবিধায় নিয়োগ পাবে কি না, ইত্যাদি।
খায়রুল আলম বলেন, আমরা সৌদি আরবকে বাংলাদেশি স্বাস্থ্য খাতের কর্মী নিয়োগের জন্য স্বাগত জানাই। আমাদের অভিবাসীদের অন্যতম মূল গন্তব্য হলো সৌদি। এই সুযোগ আরও বাড়ানোর পথ রয়েছে।
তিনি বলেন, এজন্য একটি বিস্তারিত নিয়োগ নীতি তৈরি করা হবে। বাংলাদেশের ১০০টিরও বেশি মেডিকেল কলেজ প্রচুর সংখ্যক প্রত্যয়িত চিকিৎসক, নার্স এবং মেডিক্যাল কর্মী তৈরি করে। উচ্চ-মানের সরঞ্জামসহ সৌদিতে কাজ করার মাধ্যমে তারা অনেক কিছু শিখতেও পারবেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: