পঞ্চগড়ে চিতা বাঘের মরদেহ উদ্ধার

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৪০

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার দাড়খোড়ে এক চিতা বাঘের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর আগে চিতা বাঘটি লোকালয়ে ঢুকে আক্রমণ চালায়।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে আটোয়ারী উপজেলার তড়িয়া ইউনিয়নের দাড়খোর সীমান্ত এলাকায় বাঘটির মরদেহ উদ্ধার করে বনবিভাগের লোকজন। বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য বাঘের মরদেহ উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

চিতা বাঘটির ৫২ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য এবং ৩০ ইঞ্চি উচ্চতা বলে জানায় বন বিভাগ। বন বিভাগ ও স্থানীয়রা জানায়, দাড়খোর ভারতীয় সীমান্তের ভারতীয় অংশের চা বাগান ও জঙ্গলে চিতা বাঘসহ অনেক বন্যপ্রাণী রয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই সীমান্ত এলাকার দাড়খোর গ্রামের এক কৃষকের একটি গরুকে আক্রমণ করে চিতা বাঘটি। বাঘের খবর পেয়ে কয়েকশ গ্রামবাসী সেখানে ভিড় শুরু করেন। এরইমধ্যে মারা যাওয়া গরুর সঙ্গে কে বা কারা বিষ মিশিয়ে রাখে।

শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে সীমান্তের কাছে বাঘটির মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসনসহ বিজিবি, পুলিশ ও বনবিভাগের কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে যান। গরুর মালিক শিয়ালের আক্রমণে গরুর মৃত্যু হয়েছে মনে করে গরুটিতে বিঘ প্রয়োগ করেন।

পরে গরুটিকে খেতে আসে চিতা বাঘটি। খাওয়া শেষে দাড়খোড় এলাকার ঈদগাহের পাশে সীমান্তঘেঁষা নাগর নদীতে বাঘটিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।

দাড়খোর গ্রামের ভ্যানচালক মনতাজ আলী বলেন, বাঘটি এখানকার একটি গরুকে আক্রমণ করেছিল। পরে মৃত গরুর মধ্যে বিষ দেওয়া হয়েছিল। পরে বাঘটি আবারও ওই গরুর মাংস খেয়ে বিষের কারণে মারা গেছে বলে শুনেছি। তবে কে বিষ দিয়েছে আমি জানি না।

বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মধুসুধন বর্মণ বলেন, এলাকায় চিতা বাঘটিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন স্থানীয়রা। তবে বাঘটি কীভাবে মারা গেছে, তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। শুক্রবার সকালে মৃত অবস্থায় বাঘটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) পঞ্চগড় আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ওই এলাকায় চা-বাগান তৈরি হওয়ায় ভারত থেকে এই চিতা বাঘ বাংলাদেশে ঢুকে আশ্রয় নিতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে বাঘ দেখলেই কেন মেরে ফেলতে হবে? কারা বাঘটি মারল বা কীভাবে মারা গেল খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

আটোয়ারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বন বিভাগের মাধ্যমে আমাদের হাসপাতালে একটি মৃত বাঘ আনা হয়েছে। আমাদের উপজেলা পর্যায়ে সাধারণত ময়নাতদন্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাব নেই। নমুনা পাঠানোর তেমন ব্যবস্থাও নেই। আমরা ময়নাতদন্ত করে রিপোর্ট দিতে পারব। আর বনবিভাগ যদি প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দেয়, তাহলে ময়নাতদন্তের পর যথাযথ ল্যাবে নমুনা পাঠানো হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: