নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং গ্রামীণ টেলিকমের অন্য তিন কর্মকর্তার শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার আপিল গ্রহণ করেছেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। গত ১ জানুয়ারি আদালত তাদের প্রত্যেককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিলেও এক মাসের মধ্যে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার শর্তে তাৎক্ষণিক জামিন মঞ্জুর করেন।
শর্ত মোতাবেক ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রোববার তারা আবেদন করেন। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল তাদের আবেদন গ্রহণ করেন এবং তাদের স্থায়ী জামিনও মঞ্জুর করেন।
ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ট্রাইব্যুনাল তাদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে এবং ৩ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করেছে। একইসঙ্গে শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত চারজনের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে, ডক্টর ইউনুস এবং অন্যান্য গ্রামীণ টেলিকম কর্মকর্তারা রোববার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে ট্রাইব্যুনালে হাজির হন এবং জামিনের আবেদনের সঙ্গে আবেদন দাখিল করেন।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান এবং পরিচালক নূরজাহান ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন বিভাগ (ডিআইএফই) মামলাটি দায়ের করে।
মামলায় বলা হয়েছে যে শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকম কর্মী ও কর্মচারীদের নিয়োগ তাদের শিক্ষানবিশ মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও স্থায়ী করা হয়নি।
আরও বলা হয়েছে, সংস্থাটি কর্মচারী বা শ্রমিকদের অর্থ প্রদানের সাথে বার্ষিক ছুটি মঞ্জুর করেনি, ছুটির জন্য একক অনুদান এবং ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ প্রদান করেনি। আদালত ২০২৩ সালের ৬ জুন মামলায় ড. ইউনূসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্যরা এই মামলার বিচার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন। তবে গত ২০ আগস্ট আপিল বিভাগ আবেদনটি খারিজ করে দেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: