ড. ইউনূসের মামলার বিচারিক নথি না দেয়ার অভিযোগ

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৪ জানুয়ারী ২০২৪ ১৩:০২

অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস : সংগৃহীত ছবি অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস : সংগৃহীত ছবি

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ-আল-মামুন অভিযোগ করেছেন, আদালতে বারবার আবেদনের পরেও তারা ড. ইউনূসের মামলার বিচার সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পাননি। নথিপত্র না দিয়ে তাকে হয়রানি ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

২৩ জানুয়ারি, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা লোক পাঠাচ্ছি। আজ দেবো, কাল দেবো- এই কথা বলে সময় নিচ্ছে। আমরা রায় পর্যালোচনা করে যে আপিল করব, সেই সুযোগ পাচ্ছি না।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা জানেন শ্রম আদালতে ২১ হাজার মামলা রয়েছে। বিচার হচ্ছে না। এখন আমরা প্রতিদিন যখন কোর্টে যাই তখন বিচারক থাকেন না। কিন্তু আমাদের মামলাটা হয়েছিল বয়িং বিমানের চেয়ে ১০ গুণ বেশি গতিতে। সেইভাবে এই মামলাটা তড়িঘড়ি করে করা হলো। অথচ ২১ হাজার মামলা পেন্ডিং রয়েছে।’

আবদুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, ‘শ্রম আইনের ২১৭ ধারা অনুসারে শ্রম আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আপিলের জন্য ড. ইউনূসের ৬০ দিন সময় পাওয়ার কথা। তবে আপিলের জন্য ড. ইউনূস এবং অপর তিনজনকে মাত্র ৩০ দিনের সময় দিয়েছেন শ্রম আদালত, যা সেই আইনের লঙ্ঘন। এতে ড. ইউনূস এবং অপর তিনজনের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে।’

ব্যারিস্টার মামুন আরো বলেন, ‘দেশের সংবিধান অনুসারে আইনের চোখে সবাই সমান এবং সবারই সমান সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তা সত্ত্বেও ড. ইউনূসকে তার সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘তৃতীয় শ্রম আদালতের কাছ থেকে বিচার সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র এখনো পাইনি, তারপরেও এই রায়ের বিরুদ্ধে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূস এবং অপর তিনজনের পক্ষ থেকে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের কাছে আপিল করা হবে।’

গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সাথে তাদের প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর ড. ইউনূসসহ অন্য তিনজনের পক্ষে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করা হয়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে পাঁচ হাজার টাকা বন্ডে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার জনকে এক মাসের জন্য জামিন দেন।

রায়ে তাদের শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ধারায় ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়। অপরদিকে ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত।

এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো: শাহজাহান।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: