তলিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৩ মে ২০২৩ ১৯:৫৮

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ : সংগৃহিত ছবি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ : সংগৃহিত ছবি

সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ যা মূলভূখন্ডের সর্ব দক্ষিণে এবং কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে ১৭ বর্গ কিলোমিটারের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ।স্থানীয় ভাষায় সেন্টমার্টিনকে নারিকেল জিঞ্জিরা বলেও ডাকা হয়। অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যমন্ডিত এ দ্বীপটি বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন স্থান হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে। তবে এইবার ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে তলিয়ে যেতে পারে সেন্টমার্টিন। 

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ উপকূল থেকে দূরে চরগুলোর নিম্নাঞ্চলে ৮ -১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে করে বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে সেন্টমার্টিন।

কক্সবাজারের আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদু রহমান বলছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ১০-১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এতে সেন্টমার্টিন তলিয়ে যেতে পারে। গুঁড়িয়ে যেতে পারে অনেক স্থাপনা।

তিনি বলেন, যেহেতু সেন্টমার্টিন সবদিক থেকে খোলা জায়গা, বাঁধ নেই, এতে করে একটা সুবিধাও রয়েছে। সেট হচ্ছে, একদিক থেকে এক প্রান্ত থেকে পানি উঠলে অন্য প্রান্ত দিয়ে বের হয়ে সাগরে চলে যাবে। বেশিক্ষণ পানি স্থির হয়ে জমা থাকার সুযোগ পাবে না।

এ কারণে আগামী ৩৬ ঘণ্টা পর্যন্ত দ্বীপের বাসিন্দাদের কোনো ঘরবাড়ি বা আশ্রয়কেন্দ্রের নিচতলায় না থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আবদু রহমান।

এদিকে সব হোটেল ও কটেজগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসবে ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, আমরা আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস সম্পর্কে জেনেছি। সব শেল্টার খুলে দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র আসতে শুরু করেছে।

মজিবুর বলেন, সেন্টমার্টিনে এখন প্রায় ৯ হাজার লোক রয়েছে। যে শেল্টারগুলো আছে, সেগুলোর বেশিরভাগই দুই থেকে তিনতলা। সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের জন্য সাত দিনের শুকনো খাবার মজুত রয়েছে। রাতের জন্য খিচুড়ি রান্না করা হয়েছে।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় অতিপ্রবল হিসেবে ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: