তিস্তা উন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়ে চীন এরই মধ্যে প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রকল্পের কাজ শুরুর বিষয়ে তিনি আশাবাদী।
২১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর শেরাটন হোটেলে ‘বাংলাদেশে চীনের ভাবমূর্তি’ বিষয়ক এক সেমিনারে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর অলটারনেটিভস ওই সেমিনারের আয়োজন করে।
উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত তিস্তা মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ভাটি থেকে তিস্তা-যমুনার মিলনস্থল পর্যন্ত নদীর প্রস্থ কমিয়ে ৭০০ থেকে ১০০০ মিটারে সীমাবদ্ধ করা হবে। নদীর গভীরতা বাড়বে ১০ মিটার। নদীশাসনের মাধ্যমে তিস্তা নদীকে সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা, ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পানি বহনক্ষমতা বাড়ানো, নদীর দুই পারে বিদ্যমান বাঁধ মেরামত করা, দুই পারে মোট ১০২ কিলোমিটার নতুন বাঁধ নির্মাণ করা ইত্যাদি।
চীনা অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২০১৬ সালে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হলেও নানা জটিলতায় সেটি থমকে যায়।
ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তিস্তা নদীবিষয়ক কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব পেয়েছি। ওই প্রকল্পগুলোর খরচ অনেক বেশি। ওই বিপুল পরিমাণ খরচের চাপ কমানোর জন্য আমরা এটি ধাপে ধাপে করতে চাই।’
এর আগে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের আরও উন্নতি হবে।
সেমিনারে সেন্টার ফর অলটারনেটিভস নির্বাহী পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ একটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।
গবেষণাপত্রে দেখা যায় বড় একটি জনগোষ্ঠী ‘চীনের ঋণের ফাঁদ’ নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে তারা আশাবাদী।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: