কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচলকারী এমডি গ্রিন লাইন-২ নামের জাহাজটি সাগরের মাঝখানে বালুচরে আটকা পড়ে। ওই জাহাজে থাকা সেন্টমার্টিনগামী ৫৪ পর্যটককে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার করে শাহ পরীরদ্বীপে নিয়েছেন কোস্টগার্ডের সদস্যরা। তবে এখনো সেখানে আটকা রয়েছে জাহাজটি।
বাংলাদেশ সময় ১০ ডিসেম্বর, রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাট থেকে ৫৪ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনে যাত্রা করেছিল গ্রিন লাইন-২ জাহাজটি। যেটি শাহ পরীরদ্বীপ অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরের নাইক্ষংদিয়া নামের এলাকার বালুচরে সাড়ে ১১টার দিকে আটকা পড়ে। বিআইডব্লিউটিএ টেকনাফের ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. জহির উদ্দিন ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই জাহাজে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাওয়া টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বালুচরে আটকা পড়ার পর জাহাজে থাকা পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক এবং কান্না-চিৎকার শুরু হয়। নানাভাবে কোস্টগার্ডের সদস্যদের অবহিত করার পর প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে স্পিডবোটে করে একে একে পর্যটকদের উদ্ধার করে আনা হয় শাহ পরীরদ্বীপে। সাগরে বালুচর থাকার বিষয়টি জাহাজের নাবিকের জানার কথা কিন্তু নাবিক অদক্ষ হওয়ায় এমনটি হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ টেকনাফের ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, পর্যটকদের উদ্ধার করে শাহ পরীরদ্বীপে আনা হয়েছে। তবে জাহাজটি আনতে জোয়ার পূর্ণ হওয়ার একটা বিষয় রয়েছে। হয়তো এটার জন্য সন্ধ্যা হয়ে যেতে পারে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: