কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে সাগরে গোসলে নেমে লাশ হয়ে ফিরলেন পর্যটক দম্পতি। ভাসমান অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন ট্যুুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।
নিহতরা হলেন নাটোর পৌরসভার বনপাড়া এলাকার বোরহান উদ্দিন আহম্মেদের ছেলে বকুল আবুল কাশেম এবং তার স্ত্রী ডেমরার সোলতান আলীর মেয়ে সাবিকুন নাহার সুমা।
সৈকতের লাইফগার্ড সুপারভাইজার ওসমান গণি জানান, লাশগুলো পানিতে ভাসতে দেখে অন্যদের সহযোগিতায় টেনে তীরে আনা হয়। পরে সেখান থেকে বিচকর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করা হয়।
হোটেল সী-গালের ফ্রন্ট ডেস্ক ম্যানেজার নুর মোহাম্মদ রাব্বি জানান, শনিবার সকাল পৌনে দশটার দিকে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে এলে ৩২৭ নম্বর কক্ষটি তাদের জন্য বরাদ্ধ দেওয়া হয়। আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নিহতরা মোবাইল, মানি ব্যাগ হোটেলে জমা রেখে সাগরে সুইমিং করতে যায়। লাশ উদ্ধারের আগ পর্যন্ত তারা সৈকতে ছিল এমনটাই ধারণা ছিল আমাদের।
তিনি বলেন, সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে সৈকতের বিচকর্মীদের মাধ্যমে দুজনের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি জানতে পেরে অন্যদের মতো আমরাও খবর নিতে গিয়ে অবগত হলাম নিহতরা আমদের হোটেল গেস্ট।
ম্যানেজার আরও বলেন, হোটেলে ওঠার পর থেকে তাদের আচরণ স্বাভাবিক ছিল।
ট্যুরিস্ট পুলিশে উপ-পরিদর্শক (এসআই) চাঁন মিয়া বলেন, সাগরে ভাসমান দুটি লাশ দেখতে পেয়ে সি-সেইফ গার্ডের কর্মীরা উদ্ধার করে। হোটেল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য মতে তাদের পরিচয় সনাক্ত হয়। লাশগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়। দুজনের লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: