বঙ্গোপসাগরে মিধিলির পর আবারও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। থাইল্যান্ড উপসাগর থেকে আগামী ২৭ নভেম্বর একটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করবে। ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করে ২৯ নভেম্বর এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২৫ নভেম্বর, শনিবার বাংলাদেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিলে এর নাম হবে ‘মিগজাউম’। এটা মিয়ানমারের দেয়া নাম।এর প্রভাবে সারাদেশের রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এবং ‘মিধিলি’র চেয়ে শক্তিশালী হওয়ার আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। এদিকে, মিগজাউম মোকবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নিচ্ছে সরকার।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুসারে, ঘূর্ণাবর্তটি উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে এবং এর প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের উপকূলে। আবহাওয়াবিদরা আশঙ্কা করছেন, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা বলেন, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য অনুকূল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শনিবার থেকে সারা দেশের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়া গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের গতি-প্রকৃতি দেখে পরবর্তীতে জানা যাবে এটি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে কি না। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত, ঝড়ো হাওয়া ও জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।
এর আগে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া সবশেষ ঘূর্ণিঝড়টির নাম ছিল ‘মিধিলি’। যা মালদ্বীপের দেওয়া নাম। গত ১৭ নভেম্বর দুপুরে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি। তাতে গাছপালা ও ফসলের ক্ষতি ছাড়াও কয়েকজনের মৃত্যু হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: