আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েল গেজ রেলসংযোগ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন যৌথভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যা আন্তঃসীমান্ত সংযোগে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। গুরুত্বপূর্ণ এই রেলসংযোগ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, ব্যবসা ও পর্যটন বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।
১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলসংযোগটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশনকে ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুর রেলওয়ে স্টেশনের সাথে সংযুক্ত করেছে, যা ভারত ও বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে সংযুক্ত করেছে।
উভয় দেশের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত রেলসংযোগটির বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। আখাউড়া (বাংলাদেশ)-আগরতলা (ভারত) রেলপথ নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালের জুলাই মাসে শুরু হয়।
ঢাকা ও নয়া দিল্লির গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেলসংযোগের উদ্বোধন করেন দুই প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া ভারতীয় সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্প- খুলনা-মোংলা বন্দর রেলওয়ে নির্মাণ প্রকল্প এবং বাগেরহাটে রামপাল মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট-২ এর উদ্বোধন করেন দুই প্রধানমন্ত্রী।
খুলনা থেকে বাগেরহাটের মোংলা বন্দর পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটার রেলপথের মাধ্যমে বন্দরে পণ্য পরিবহন সহজতর হবে। এই রেলপথ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাশ্রয়ী মূল্যে মোংলা বন্দরের পণ্য পরিবহনে সহায়তা করবে এবং ভারত, নেপাল ও ভুটানের সাথে বাণিজ্যকে সমর্থন করবে, আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে।
মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট রামপালের দ্বিতীয় ইউনিটটি জাতীয় গ্রিডে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত করবে।
মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট-২ এবং ৬৫ কিলোমিটার খুলনা-মোংলা বন্দর রেলসংযোগ ভারতীয় নিয়ন্ত্রণ রেখার (লাইন অব ক্রেডিট) আওতায় এবং আখাউড়া (বাংলাদেশ) ও আগরতলা (ভারত) রেলসংযোগ ভারতীয় অনুদানে বাস্তবায়িত হয়েছে।
দুই প্রতিবেশী দেশের যৌথ উদ্যোগে দুটি ইউনিটে মোট ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট টি রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নামে পরিচিত।
সূত্র : ইউএনবি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: