ফিলিস্তিনের পক্ষে রাস্তায় খেলাফত মজলিস

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৩ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:২৫

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

 


ফিলিস্তিনের নিরীহ মুসলিমদের ওপর অবৈধ দখলদার ইসরায়েলিদের আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের রাজধানীর পল্টন-বায়তুল মোকাররম এলাকা। রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষ করে মিছিলে মিছিলে পল্টনে সমবেত হন মুসল্লিরা। ১৩ অক্টোবর, শুক্রবার বাদ জুমা ইউনাইটেড মুসলিম উম্মাহর ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশে পল্টনে জড়ো হতে থাকেন মুসল্লিরা।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া মুসল্লিরা বলেন, আমরা যে কোনো মূল্যে ফিলিস্তিনিদের শান্তি-নিরাপত্তার আহ্বান জানাচ্ছি। আমেরিকাসহ যেসব দেশ দখলদার ইসরায়েলিদের অনৈতিকভাবে সহযোগিতা করছে তাদের সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে ফিলিস্তিনকে একটি পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে স্বকৃতি দেয়ার আহ্বান জানাই।

তারা বলেন, দখলদার ইসরায়েল সরকার ফিলিস্তিনিদের ওপর যে নির্মম অত্যাচার চালাচ্ছে তা বৈশ্বিক মানবিক বিপর্যয়। আমরা ইসরায়েল সরকারসহ তার মদদদাতাদের স্পষ্ট বলতে চাই- অবিলম্বে ফিলিস্তিনিদের শান্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে এর কড়া মূল্য দিতে হবে। বাংলাদেশের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে।

বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, দখলদারদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, ‘আমরা সবাই রাসুল সেনা, ভয় করি না বুলেট বোমা’ স্লোগান দিচ্ছিলেন।

ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ মিছিলে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের অনেকের হাতে ছিল ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা।

এর আগে বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজে সালাম ফিরিয়েই ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন তারা।

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর বোমাবর্ষণের প্রতিবাদে ফিলিস্তিনের রাজধানী পূর্ব জেরুজালেম এবং পশ্চিমতীর এলাকার সাধারণ ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে হামাস।

১৩ অক্টোবর,শুক্রবার বিক্ষোভ সমাবেশের স্থান হিসেবে পবিত্র আল আকসা মসজিদ চত্বরের নাম উল্লেখ করেছে হামাস।

গত ৭ অক্টোবর শনিবার ভোররাতে ইসরাইলে অতর্কিতে হামলা ও অনুপ্রবেশ করে নির্বাচারে হত্যাযজ্ঞ শুরু করেন হামাসের যোদ্ধারা। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় গাজা উপত্যকায় ওই দিনই বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইলের বিমানবাহিনী। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গত ৬ দিনে গাজা উপত্যকায় অন্তত ৬ হাজার বোমা ফেলা হয়েছে।

দুই পক্ষের যুদ্ধে শনিবার থেকে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজারের মত হয়ে গেছে। এই নিহতদের মধ্যে ইসরাইলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক রয়েছেন এক হাজার ৩ শতাধিক, আর গাজা ভূখণ্ডে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৫ শতাধিক মানুষ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: