৬টি হাইভোল্টেজ লাইনে গ্রাহকের কাছে পৌঁছাবে রূপপুরের বিদ্যুৎ!

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৪ অক্টোবর ২০২৩ ০৪:২১

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র : সংগৃহীত ছবি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র : সংগৃহীত ছবি


বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সেবা গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তৈরি হচ্ছে ৬টি হাইভোল্টেজ সঞ্চালন লাইন। এখন পর্যন্ত এসব প্রকল্পের সম্মিলিত ভৌত অগ্রগতি ৮৬ শতাংশ। নীতিনির্ধারক ও বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা, দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের পাশাপাশি অর্থনীতিও গতিশীল করবে রূপপুর। ধারণা করা হচ্ছে, জিডিপিতে রূপপুরের অবদান হবে ২ শতাংশের বেশি।

রাশিয়ার নভোসিবিরস্ক থেকে বাংলাদেশে আসা পারমাণবিক জ্বালানি ইউনিয়াম খুলে দিলো আরো একটি নবযাত্রার দুয়ার। যদিও জ্বালানি আসা মানেই পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়ে যাওয়া নয়, গুরুত্বপূর্ণ এ অধ্যায়ের পর পেরুতে হবে আরো বেশিকিছু ধাপ। স্পর্শকাতর জ্বালানি ইউরেনিয়াম থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর তা গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে প্রয়োজন বিশেষায়িত সঞ্চালন অবকাঠামো।

রূপপুরের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ছটি সঞ্চালন লাইন। এ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৪০০ কেভি ক্ষমতার ৬৪৮ সার্কিট কিলোমিটার আর ২৩০ কেভি ক্ষমতার ৪৪৬ সার্কিট কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন। এসব লাইনের ১৬ সার্কিট কিলোমিটার তৈরি হচ্ছে প্রমত্ত পদ্মা আর যমুনা পাড়ি দিয়ে। সঞ্চালন লাইন তৈরি করা সরকারি প্রতিষ্ঠান পিজিসিবির সূত্রমতে, এখন পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অবকাঠামোগত অগ্রগতি ছাড়িয়েছে ৮৬ শতাংশ।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানাচ্ছেন, আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে গ্রাহকের কাছে রূপপুরের বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলছে প্রকল্পের কাজ।

বিদ্যুৎ বিভাগ মনে করে, রূপপুরে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বৃহৎ স্থাপনা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে, যা গতিশীল করবে অর্থনীতিকেও। জিডিপির বার্ষিক প্রবৃদ্ধিতে রূপপুর ২ শতাংশের বেশি অবদান রাখবে - সরকারি প্রাক্কলনে মিলছে এমন তথ্যও।

আগামী বছর রূপপুরের প্রথম ইউনিট উৎপাদন উপযোগী হলে মিলবে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আর পরের বছর থেকে পুরোদমে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট যোগান দিতে সক্ষম হবে রূপপুর - এমনটাই আশা নীতি নির্ধারকদের।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: