পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে গরু পাচার করেছে বিএসএফ। অনুব্রত মন্ডলের গরু পাচার কাণ্ডে চার্জশিট দাখিল করে ইডি আদালতকে জানিয়েছে যে অনুব্রত মন্ডল একা গরু পাচার করেনি, বিএসএফের মদতে এই কাজ হয়েছে। বিএসএফ বালাদেশে গরু পাচার কাণ্ডে সরাসরি যুক্ত। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেছেন- আমরা আগেই বলেছিলাম যে বিএসএফ এই কাজে যুক্ত।
সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর যোগ না থাকলে সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার হতে পারে না। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই প্রসঙ্গে বলেছেন- বিএসএফ দোষ করলে সাজা পাবে। কিন্তু, আমার প্রশ্ন বিএসএফ কী চিঠি দিয়ে অনুব্রত মন্ডলকে গরু পাচার করার জন্যে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল! ইডি তাদের চার্জশিটে বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে কী ভাবে বাংলাদেশে গরু পাচার হতো তার। তারা জানিয়েছে, দুহাজার পনেরো সালে গরু পাচারকারীদের কিং পিন এনামুল হক, বিএসএফ এবং অনুব্রত মন্ডল বাংলাদেশে গরু পাচারের ব্যবসা শুরু করেন।
উত্তরের গো বলয় থেকে গরু চালান হয়ে আসতো বীরভূমের বিভিন্ন পশু ডেরায়। এই ধরনের ডেরা আছে লালগোলা, জঙ্গিপুর, ডোমকল, প্রভৃতি জায়গায়।এখানে পশু নিলামে এনামুল হক বেনামে গরু গুলি কিনে নিতো। সীমান্তের লাগোয়া একটি জায়গায় সোনার বাংলা বলে একটি হোটেল চালাতো তিন ভাই- জাহাঙ্গীর, মেহেদী হাসান এবং হুমায়ুন কবীর। এই তিন ভাই এনামুলের সহযোগী। সোনার বাংলা হোটেলে এনামুল এর অফিস এ গরুর বিলিবন্টন হতো। বাংলাদেশে কোথায় গরু যাবে তা ঠিক হতো এই সোনার বাংলা হোটেলে। এরপর বিএসএফের ছ নম্বর ব্যাটালিয়ন এর নিমতিতা, গোণ্ডুয়া ও গিরিয়া বর্ডার আউটপোস্ট এর সহযোগিতায় বাংলাদেশে গরু পাচার হতো। ইডি তাদের চার্জশিটে জানিয়েছে, অনুব্রত মন্ডল, এনামুল হক এবং সায়গল হোসেন বিএসএফের সহযোগিতায় এই ব্যবসা করছে দীর্ঘ সাত বছর ধরে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: