ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত যাচাই বাছাই এড়াতে বৌদ্ধ ভিক্ষুর বেশ ধরেছিলেন ৭ বাংলাদেশি। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। ধরা পড়েছেন থাইল্যান্ডের ইমিগ্রেশন ও হাট ইয়াই ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে। থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় সোংখলা প্রদেশ থেকে ছদ্মবেশী সাত বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ইমিগ্রেশন ও হাট ইয়াই ট্যুরিস্ট পুলিশ যৌথ অভিযান শুরু করে। সবাই পুরুষ এবং সবার মাথা কামানো ছিল। পরনে ছিল সন্ন্যাসীদের পোশাক। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে মিশে যেতে ও কর্তৃপক্ষের চোখ এড়াতে এই কাজ করেন তারা।
গ্রেপ্তারকৃদের মধ্যে ৪৬ বছর বয়সী রূপদা নামে একজন দলটির নেতৃত্ব দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে।
থাইল্যান্ডের সংবাদ সংস্থা দ্য পাতায়া নিউজ জানিয়েছে, তদন্ত করে কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, দলটি মিয়ানমার থেকে তাক প্রদেশের মায়ে সোট জেলার একটি পথ দিয়ে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেছিল। প্রাথমিকভাবে তারা বাংলাদেশ থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। তাদের চূড়ান্ত গন্তব্য ছিল মালয়েশিয়া।
সাত ব্যক্তির সঙ্গে সাধারণ পোশাক ছিল। তারা যে সন্ন্যাসী তার সপক্ষে কোনো প্রমাণ তাদের কাছে ছিল না। ফলে তাদের আসল পরিচয় সম্পর্কে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।
সঠিক প্রমাণ না থাকা এবং তাদের জিনিসপত্রের মধ্যে সাধারণ পোশাকের উপস্থিতি প্রমাণ করে তারা ভিক্ষু ছিলেন না। যা তারা দাবি করেছিলেন।
ফলস্বরূপ, সাতজনের বিরুদ্ধে থাইল্যান্ডে অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাদের হাট ইয়াই থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সকল আইনি প্রক্রিয়ার শুরু হয়েছে।
সূত্র: থাইগার
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: