ম্যাক্রোঁর ঢাকা সফর, স্যাটেলাইটসহ সই হবে দুই সমঝোতা স্মারক

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:২৫

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ : সংগৃহীত ছবি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ : সংগৃহীত ছবি


ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ আজ ১০ সেপ্টেম্বর, রোববার প্রথমবারের মতো ঢাকায় যাচ্ছেন। ১৯৯০ সালে ফ্রাঁসোয়া মিতেরার সফরের ৩৩ বছর পর ফ্রান্সের কোনো প্রেসিডেন্টের এটিই প্রথম বাংলাদেশ সফর। ফরাসি প্রেসিডেন্টের এ সফরে স্যাটেলাইটসহ দুটি সমঝোতা স্মারক ও একটি সম্মতিপত্র সইয়ের প্রস্তুতি রাখছে বাংলাদেশ।

ফ্রান্স দূতাবাস বলেছে, ৩৩ বছর আগে ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্টের সফরে বন্যাদুর্গত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার ছিল। বিগত বছরগুলোতে দুই দেশ অনেক পথ পাড়ি দিয়েছে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। আগামী বছরগুলোতে দুই দেশের অংশীদারী আরও সুসংহত হবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে দু’দিনের এ সফরে ইমানুয়েল মাখোঁ আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবেন। রোববার সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাবেন শেখ হাসিনা। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সফর উপলক্ষে শেখ হাসিনা কর্তৃক তাঁর সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে।

১১ সেপ্টেম্বর, সোমবার সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে একটি শীর্ষ বৈঠক, দ্বিপক্ষীয় ইনস্ট্রুমেন্ট সই অনুষ্ঠান এবং একটি যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে অংশগ্রহণের কথা রয়েছে।

সফরকালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসেবে অন্যদের মধ্যে থাকবেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোনা।

ফরাসি প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে বলে আশা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট সন্ধ্যার ঢাকায় পৌঁছালে, বাংলাদেশের প্রটোকল অনুযায়ী বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে অন্ধকার হয়ে যাবে। পর দিন বিকেলে ঢাকা ছাড়বেন তিনি। 

ওই কর্মকর্তা বলেন, এভিয়েশন খাতে দুটির মধ্যে একটি স্যাটেলাইট ও অন্যটি এয়ারবাসের সঙ্গে সমঝোতা। এছাড়া নগর উন্নয়নে একটি সম্মতিপত্র সইয়ের প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। এছাড়া আরও কিছু বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে, তবে সেগুলো চূড়ান্ত হয়নি। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ইন্দো-প্যাসিফিক, সামরিক বাহিনীগুলোর মধ্যে সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ রাজনৈতিক বিষয়গুলোতে আলোচনা হবে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: