বাংলাদেশের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুল্ক বিভাগের গুদামে থাকা লকার থেকে ৫৫ কেজির বেশি সোনা চুরি হয়েছে। টার্মিনাল ভবনের ভেতরে সুরক্ষিত স্থান থেকে কীভাবে এমন চুরির ঘটনা ঘটলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সূত্র জানায়, সোনা চুরির চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঢাকা শুল্ক বিভাগের নজরে আসে গত শনিবার। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় আজ ৩ সেপ্টেম্বর, রবিবার। এ ঘটনায় শুল্ক বিভাগ একজন যুগ্ম কমিশনারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
শুল্ক বিভাগের ভাষ্য অনুযায়ী, চুরি হওয়া এসব সোনা ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময় উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু এত দিন ধরে এত পরিমাণ সোনা বিমানবন্দরের গুদামে রাখা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে গুদাম থেকে সোনা চুরির ঘটনায় চার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়ী করে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস।
রবিবার রাতেই বিমানবন্দর থানায় এ ঘটনায় মামলা হতে যাচ্ছে জানানো হয়েছে। মামলায় গুদাম ইনচার্জসহ মোট চারজনকে আসামি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে পুরো ঘটনা তদন্তের জন্য যুগ্ম কমিশনার মিনহাজ উদ্দীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে।
ঢাকা কাস্টমস হাউসের কমিশনার এ কে এম নুরুল হুদা আজাদ এ প্রসঙ্গে বলেন, দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত চারজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। আমাদের আইনি পদক্ষেপ চলমান থাকবে।
এর আগে রবিবার সকালে ঢাকা কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা গুদাম থেকে চুরি হওয়া সোনার পরিমাণ ২০ থেকে ২৫ কেজি হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতরে ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ অর্থাৎ হারিয়ে যাওয়া ও খুঁজে পাওয়া পণ্য রাখার স্থানের পাশেই রয়েছে কাস্টমের গুদাম। বিমানবন্দরে কাস্টমসহ বিভিন্ন এজেন্সির জব্দ করা মূল্যবান সামগ্রী জমা থাকে এই গুদামে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: