‘ডেন ফাইভ’ এর ঝুঁকিতে বাংলাদেশ ; ডেঙ্গুর বিস্তার বাড়তে পারে ১০০ গুণ

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২২ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৪১

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি


ডেঙ্গুর আরেক সেরোটাইপ ‘ডেন ফাইভ’ এর ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক উপদেষ্টা জানান, একাধিক সেরোটাইপের ক্রসওভার মিউটেশনে ভাইরাসটির ব্যাপক জিনগত পরিবর্তন হয়েছে বাংলাদেশে। এতে ১০০ গুণ বেড়ে যেতে পারে ডেঙ্গুর বিস্তার। এরইমধ্যে ডেন ফাইভের বিস্তার হয়ে আছে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে। যদিও এ নিয়ে কোনো গবেষণাই করছে না সরকার। তবে রাজধানীতে পরীক্ষা করা নমুনায় এমন কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।

ডেন ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর- ডেঙ্গুর ৪ সেরোটাইপ। গেল বছর হাসপাতালে ভর্তি সবচেয়ে বেশি রোগী ছিল ডেন থ্রিতে আক্রান্ত। মৃত্যু ঝুঁকি কম ছিল সেটার। এবার বেশি আক্রান্ত ডেন টুতে। শক সিনড্রোমে তাই মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে আগের ২৩ বছরের রেকর্ড। এ বছর ডেঙ্গুর চারটি সেরোটাইপই সক্রিয় বাংলাদেশে। সরকারি হিসেবেই আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ১ লাখ। যার অর্ধেক চলতি মাসেই। প্রতিদিন গড়ে মারা যাচ্ছেন ১০ জন।

বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে ভয়াবহ বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আসছে সময়টা আরও খারাপ হতে পারে, এমন শঙ্কাও জানিয়েছে সংস্থাটি। অণুজীব বিজ্ঞানী ও ডব্লিউএইচও’র উপদেষ্টা ডা. বে-নজির আহমেদ জানালেন ভয়ের কথা। ডেন ফাইভ সংক্রমণের শঙ্কায় আছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, ফাইভে আমাদের জন্য শঙ্কার কারণ, আমাদের লোকজন ফাইভের জন্য ভার্জিন। তার মানে, আমরা সবাই ঝুঁকিপূর্ণ। ওয়ান, টু, থ্রির জন্য হয়তো তা না। সুতরাং, ফাইভ আসলে আমাদের জন্য নতুন করে যা যোগ করবে তাতে নতুন করে আরও মানুষ আক্রান্ত হবে।

ডাক্তার বে-নজিরের মতে, ডেন ফাইভের সংক্রমণ হলে বারবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে থাকবে মানুষ। ঝুঁকিতে পড়ে যাবে সমগ্র দেশ। তিনি বলেন, একইসাথে যদি এক থেকে চার পর্যন্ত প্রত্যেকটিই থাকে তাহলে ঢাকাবাসী একটা না একটা দ্বারা আক্রান্ত হবে। চারটিতেই আক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত হার্ড ইম্যুনিটি হবে না, পার্সোনাল ইম্যুনিটি হবে না। ততদিন পর্যন্ত সংক্রমণ হতেই থাকবে।

পরীক্ষা করালে ৮০ ভাগই পাওয়া যাচ্ছে ডেঙ্গু পজেটিভ। কে কোন সেরোটাইপে আক্রান্ত; মৃতরাই বা কোনটাতে আক্রান্ত ছিলেন তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো গবেষণা নেই। আইইডিসিআর’র পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বলেন, এখন দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে সেরোটাইপগুলো। কেউ যদি গেল বছর বা তার আগের বছর বা তারও আগে একটি সেরটাইপে আক্রান্ত হয়, সেক্ষেত্রে আরেক সেরতাইপে আক্রান্ত হলে ঝুঁকির সম্ভাবনা থেকেই যায়।

ঠিকঠাক নমুনা নিয়ে জিনোটাইপিং করা গেলে জানা যেত কেন মারা যাচ্ছে মানুষ; কী করলে হয়তো বাঁচানো যেত তাদের প্রাণ। অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন জানান, ডেন ফাইভ এখনও তারা বাংলাদেশে খুঁজে পাননি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: