সাইবার নিরাপত্তা আইন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা : ফখরুল

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৮ আগস্ট ২০২৩ ১১:৫৩

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর : সংগৃহীত ছবি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর : সংগৃহীত ছবি


‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে’র নাম পরিবর্তন করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়নের উদ্যোগকে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ ৮ আগস্ট, মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি মনে করে এটা (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) নাম পরিবর্তন করে নিবর্তনমূলক আইন প্রণয়নের করার নামান্তর। তারা এটার নাম পরিবর্তন করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।

তিনি আরো বলেন, এটা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে আইন, মানুষের অধিকারের বিরুদ্ধে আইন, মিডিয়ার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে আইন, এটা রাখার কোনো প্রশ্নই উঠতে পারে না। এই আইনটা সবচাইতে নিকৃষ্ট কালো আইন স্বাধীনতার জন্যে, গণতন্ত্রের জন্যে। এই আইন কোনো মতেই থাকা উচিত না, আমরা বাতিল চাই।

এদিকে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়বস্তুতে বড় পরিবর্তন এনে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ নামে নতুন আইন করার সিদ্ধান্তে খবর প্রকাশের পরই এক টুইট বার্তায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক আঞ্চলিক দপ্তর। 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এত দিন বিরোধীমত দমন ও অনলাইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করার জন্য ক্ষমতাসীন দল ও তাদের সহযোগীরা এটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পরিবর্তন এনে যে সাইবার নিরাপত্তা আইন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে তাতে যেন আগের আইনের দমনমূলক ধারাগুলো সংযুক্ত না হয় তা বাংলাদেশ সরকারকে নিশ্চিত করার আহ্বান জানায় অ্যামনেস্টিে। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি টুইট বার্তায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারচর্চার কারণে যাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৭ আগস্ট, সোমবার মন্ত্রিসভা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের নাম পরিবর্তন করে সাইবার সিকিউরিপটি অ্যাক্ট নামকরণে নতুন আইনের খসড়া অনুমোদন দেয়। ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি পাস হয়েছিলো। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ব্যাপক সমালোচিত ৫৭সহ কয়েকটি ধারা বাতিল করে নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হলেও পুরনো আইনের বাতিল হওয়া ধারাগুলো নতুন আইনে রেখে দেওয়ায় এর অপপ্রয়োগের শঙ্কা ছিল উদ্বেগের কেন্দ্রে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার লেখক মুশতাক আহমেদ ২০২১ সালে কারাগারে মারা যাওয়ার পর ওই আইন বাতিলের দাবিতে ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছিল।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: